Homeএখন খবরঘাটালে নাবালিকা কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ! গ্রেপ্তার বাবা, ধর্ষণে সায়...

ঘাটালে নাবালিকা কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ! গ্রেপ্তার বাবা, ধর্ষণে সায় দিয়ে গ্রেপ্তার মা-ও, অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছিল লক ডাউনে

নিজস্ব সংবাদদাতা: তাবৎ আপত্য সম্পর্কের প্ৰতি অবিশ্বাস জন্ম দিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের এক বাবা। দিনের পর দিন নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পাষন্ড ওই বাবার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ করেছে সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরতা কন্যা নিজে। ঘাটাল থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে ওই কন্যাশ্রী জানিয়েছে বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরেই বাবার পাষন্ড আচরনের শিকার হয়েছে সে।

জানা গেছে ঘাটাল থানায় নিজের দিদিকে নিয়ে অভিযোগ করতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছে ওই একরত্তি মেয়ে। মেয়ে জানিয়েছে মা বাইরে গেলেই এই ঘটনা ঘটত। দিনেরর পর দিন এই ঘটনা ঘটে গেছে। ঘটনার কথা মা’কে জানালেও চুপ থাকতেন মা। মা বিশ্বাস করতেন না নাবালিকা মেয়ের এই কথা। ১৩বছরের মেয়ের প্রতি বাবার এই পাশবিক আচরনের কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন ঘাটাল থানার পুলিশ কর্মীরা। অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে মেয়ে জানিয়েছে, সহ্যর সীমা ছাড়িয়েছে সে অত্যাচার।

নিজের মাকে পর্যন্ত নীরব থাকতে দেখে গোটা বিষয় খুলে বলেছে নিজের বিবাহিত দিদিকে। বোনের কাছে সমস্ত ঘটনা শুনে তার হয়ে পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন দিদি, অভিযুক্ত দম্পত্তির বড় মেয়ে। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই দিন রাতেই নির্যাতিতার বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ধৃতদের এদিন ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই দম্পত্তির চার মেয়ে। ইতিমধ্যেই তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নিম্নবিত্ত পরিবারের রোজগার বলতে কৃষি মজুরি অথবা অন্য কোনও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কাজ। স্বামী স্ত্রী দুজনেই এক কাজ করতেন। কখনও কখনও স্ত্রী একাই কাজে যেতেন। তখনই মায়ের অবর্তমানে ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করত ওই ব্যক্তি। সেকথা মাকে জানালেও মা বিশ্বাস করত না। মেয়ে জানায় স্কুল খোলার সময় স্কুলে পালিয়ে তবু বাঁচা যেত কিন্তু লকডাউনে অত্যাচারের মাত্রা ছড়িয়ে যায়। ঘরবন্দি অবস্থায় আর পার পাওয়া যাচ্ছিলনা বাবার হাত থেকে। অত্যাচারের মাত্রা ছাড়াচ্ছিল দিন দিন। ওদিকে মা ও বিশ্বাস করছেনা তার কথা। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে দু-দিন আগে পুরো ঘটনা বড় দিদির কাছে জানায় অসহায় নির্যাতিতা।

এরপর আর সময় নেয়নি দিদি। বোনকে সোজা হাজির হয়ে যায় ঘাটাল থানায়। বোনকে সমস্ত বিষয় খুলে বলতে পুলিশকে। চোখের জলে সমস্ত কিছু বাবার কুকীর্তির কথা জানায় মেয়ে। পুরো ঘটনা শোনার পর পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী বোনের হয়ে অভিযোগ দায়ের করে দিদিই। এরপরই দম্পত্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি মায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সায়, অপরাধীকে মদত করা, তথ্য গোপন করা ইত্যাদি অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular