নিজস্ব সংবাদদাতা: জাপান থেকে ফিরেছিলেন দিন দুই আগে। কর্মসূত্রে সেখানেই থাকেন। নিজের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার। হঠাৎ করেই শুরু হয় পেটে ব্যাথা, মাথা যন্ত্রনা ও শ্বাসকষ্ট। শরীরের অবনতি হওয়ায় শুক্রবার দেখাতে এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর ২৮ বছর বয়সী ওই যুবকের উপসর্গ দেখেই তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করে নেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে মূলত ডাইরিয়ার লক্ষ্মণ নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তবে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর জাপান থেকে আসার কথা শুনেই হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু জানিয়েছেন, ওই যুবকের লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে তবে নিশ্চিত করে বলা যাবে কী হয়েছে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র জানিয়েছেন, যেহেতু জাপান থেকে ওই যুবক এসেছেন তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে করোনা ভাইরাস এর পরীক্ষা করার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আপাতত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তাকে ১৪ দিন তার নিজের বাড়িতে নজরদারিতে রাখা হবে।
করোনা তথা কোভিড-১৯ কে বিশ্বজোড়া মহামারী বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু।’ পৃথিবীর ১০৯টির বেশি দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে। ভারতে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬। গতকাল রাতে কর্ণাটকের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যখন নজিরবিহীন ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, তখন মেদিনীপুরে ছড়াল করোনা আতঙ্ক। যদিও এদিনই নেতাজি ইনডোর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও করোনা রুখতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।