নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার জল বাড়বে ১৭ ফুট উচ্চতায়। বিকেল পর্যন্ত বিপর্যয়ের সতর্কতা কলকাতা সহ বেশ কিছু জেলায়। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছে কলকাতা। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বৃষ্টিও হয়ে গিয়েছে কয়েক পশলা। তবে শুধুমাত্র বৃষ্টি নয় আজকে কলকাতার জন্য রয়েছে আরও কিছু সতর্কবার্তা।
আবহাওয়াবিদরা বুধবারেই জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ভরা কোটালের আশঙ্কা রয়েছে, যার দরুন বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়াবিদদের মতে, দুপুর ২.০৩ মিনিট নাগাদ গঙ্গার জলস্তর প্রায় ১৭ ফুটের কাছাকাছি উঠে যাবে। ফলে জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে কলকাতার বেশ কিছু এলাকার। এছাড়া গোটা কলকাতা শহর জুড়ে এছাড়াও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় যশের একটি শাখা ঝাড়খণ্ডের দিকে ঢুকতে শুরু করেছে। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু জেলায়, তথা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ এখন ঝাড়খণ্ডের দিকে হওয়ায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদহের মত জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় যশ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ঝাড়খন্ড এবং বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর সেই বৃষ্টির রেশ কিছুটা পশ্চিমবঙ্গের দিকেও আসবে। ভরা কোটালের কারণেও কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকেই ভরা কোটালের জেরে জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় হয়েছে বৃষ্টি। ভরাকোটালের জেরে জলস্তর বেড়েছে গঙ্গা ও আদিগঙ্গার জলস্তর। আর তার জেরেই জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট, রাসবিহারী, ভবানীপুর ও চেতলার বিস্তীর্ণ এলাকা।
উল্লেখ্য, বুধবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ওড়িশার ধামড়া ও বালেশ্বরের মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্থলভাগ স্পর্শ করতে শুরু করে ইয়াস। ইয়াসের প্রভাব পড়তে শুরু করে বঙ্গেও। দিঘায় উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। জলস্তর বেড়ে যায় ব্যাপক হারে। শহরের বুকে ঢুকতে শুরু করে জল। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও উত্তর ২৪ পরগণা- এই জেলা গুলিতে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে ভয়াবহ। বাঁধ ভাঙতে শুরু করে নদীগুলিও। প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। একদিকে ভরা কোটাল, তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কার্যত বিধ্বস্ত বাংলার একাধিক জেলা।