Homeঅন্যান্যতিস্তার বালি থেকে উদ্ধার গণেশ সদৃশ্য শিলা,দেখতে ভক্তদের ভীড় জলপাইগুড়িতে

তিস্তার বালি থেকে উদ্ধার গণেশ সদৃশ্য শিলা,দেখতে ভক্তদের ভীড় জলপাইগুড়িতে

নিউজ ডেস্ক: তিস্তা নদীর বালিতে পাওয়া গেল কয়েক হাজার বছর আগের একটি পৌরাণিক শিলা। শিলার টুকরোটি দেখতে অনেকটা গনেশের আকৃতির মত। জলপাইগুড়ি‌র মোহিতনগর এলাকা থেকে একজন গবেষক উদ্ধার করেছে‌ন শিলাটি। ইতিমধ্যে‌ই এই শিলাটির পুজো অর্চনা শুরু করে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ।

চার লেন রাস্তা নির্মাণের জন্য স্তুপ করে রাখা তিস্তা নদীর বালির উপর খেলতে খেলতে দুটি কুকুর প্রথম পাথর‌টিকে মুখে করে নিয়ে আসে।
গণেশ আকৃতির প্রাচীন পাথরটিকে দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান মোহিতনগরের বাসিন্দা গবেষক কৌস্তুভ বাগচী। তিনি জানান, পাথরটি‌র মধ্যে গণপতির সুস্পষ্ট আকৃতি রয়েছে। পাথরটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে মহারাষ্ট্রের ধর্ম তাত্ত্বিক পণ্ডিতেরাও এটিকে “সয়ম্ভূ গণপতি” বলে চিহ্নিত করেছেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষক ডঃ আয়েঙ্গার একে নদীর জলে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট হওয়া একটি মূর্তি বলেছেন। তিনি বলেন, নর্মদা, গণ্ডকী সহ ভারতের অনেক নদীতে এমন ধরণের মূর্তি আকৃতির পাথর এবং শালগ্রাম কখনও কখনও পাওয়া যায়। তবে উত্তরবঙ্গে তিস্তা নদীর জলে বা বালির মধ্যে এমন আকৃতির শিলা পাওয়ার ঘটনা একেবারেই বিরল। বর্তমানে এই গণেশ আকৃতির শিলাটি জগন্নাথ গবেষক কৌস্তুভ বাগচীর বাড়িতে মহারাষ্ট্রের গণপতি বিশারদ পণ্ডিতদের মতানুযায়ী পূজিত হচ্ছে। এই ঘটনা এলাকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গবেষক কৌস্তুভ বাগচী বলেন,
মহারাষ্ট্র সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পাথরের যে সব গণেশ পূজিত হয় তার মধ্যে বেশিরভাগ‌ই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। যাদের সয়ম্ভূ গণপতি বলা হয়। এই গণেশগুলো অত্যন্ত জাগ্রত বলে মনে করেন পণ্ডিতরা। জলপাইগুড়ি থেকে পাওয়া আগ্নেয় শিলার পাথরটি এমনই একটি সয়ম্ভূ গণেশ মূর্তি বলে মনে করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular