নিউজ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর কলকাতা সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় নির্ধারিত সময়ে ভোট করাতে পারেনি। যে কারণে দৈনন্দিন নাগরিক পরিষেবা ও প্রশাসনিক কাজকর্ম অব্যাহত রাখতে প্রতিটি পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী নিয়োগ করা হয়েছিল। পাশাপাশি বিদায়ী কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ।আর এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক বাছ-বিচার করা হয়নি। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদে যেমন বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বসানো হয়েছিল, তেমনই শিলিগুড়ি পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদে বসানো হয়েছিল বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে।
প্রসঙ্গত,পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি দল কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদে বসার পরেই তাঁকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছিল।দলের পক্ষ থেকে এক কর্মী ও আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। যদিও সেই মামলাতে মুখ পোড়ে গেরুয়া শিবিরের। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি। তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে কলকাতা সহ ১১২টি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরিয়ে দিয়ে সরকারি আধিকারিকদের বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে “পুর প্রশাসক পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা চলবে না।” এবার নির্বাচন কমিশনের পদ থেকে সরানোর আগেই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেত নিয়ে শনিবার গভীর রাতে পুরসচিব খলিল আহমেদের কাছে ইস্তফাপত্র তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, রবিবার সকালেই অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমাররাও পদত্যাগ করেছেন। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও একইভাবে অন্যান্য পুরসভার প্রশাসকরাও ইস্তফা দেবেন বলে খবর। বিজেপির অভিযোগের জেরে শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, ২ মে পর্যন্ত কোনও পুরসভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রশাসক থাকতে পারবেন না। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুর প্রশাসকরা।