ওয়েব ডেস্ক : মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের মেধাবী ছাত্র রাখিয়াজ মোল্লা। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে রাখিয়াজ। দারিদ্রতার সাথে চরম লড়াই করে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১২ তম স্থান অধিকার করে গ্রামবাসীদের তাক লাগিয়েছে এই মেধাবী ছাত্র। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৭০০র মধ্যে ৬৮১। বর্তমানে সে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা করছে। ভবিষ্যতে রাখিয়াজ যাতে লেখাপড়া নিয়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে সেকারণে রাখিয়াজকে উৎসাহ যোগাতে রবিবার এই মেধাবী ছাত্রের বাড়ি পৌঁছে যাব রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির কয়েকজন সদস্য। এদিন রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে রাখিয়াজ মোল্লার হাতে সামান্য আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
তার বাবা পেশায় দিনমজুর। মা সামান্য সেলাইয়ের এর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। লকডাউনে সেই পেশাতেও ভাটা পড়েছে। ফলে কোনোরকমে কষ্ট করে সংসার চলছে। কিন্তু সংসারের এত অভাব অনটনের মধ্যেও ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী এই মেধাবী ছাত্রটি। ছেলের স্বপ্নকেই সার্থক করতে বদ্ধপরিকর বাবা-মা। কিন্তু কিভাবে ছেলেকে ডাক্তার তৈরি করবেন এই ভেবে যখন কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না রাখিয়াজের বাবা- মা। সেসময় তাদের স্বপ্নকে সার্থক করতে পাশে এসে দাঁড়ায় রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি। রবিবার এই কমিটির পক্ষ থেকে দশ হাজার টাকা ক্যাশ রাখিয়াজের বাবা-মার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের মাননীয় প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি, রাজ্য কমিটির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাখার সম্পাদক সহ আরও বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ। এদিন কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের মেধাবী ছাত্র রাখিয়াজ মোল্লা যাতে ভবিষ্যতে বহুদূর এগিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন সেজন্য তাকে আগাম শুভেচ্ছা জানান কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের মাননীয় প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি।