গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, পূর্ব বর্ধমানঃ এক সময় বর্ধমানই ছিল বাংলার শষ্য ভান্ডার। বর্ধমানের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে উর্বর মৃত্তিকা ফসল উজাড় করে কৃষকের ঘরে ঘরে ভরে তুলতে ধানের গোলা। সময় বদলালেও রয়েছে সংস্কার। আর সেই সংস্কারের অন্যতম হল ফসল কাটার শষ্য লক্ষীর আরাধনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নতুন ধান ঘরে তোলার পরে সেই উৎসবের নামই নবান্ন।সারা অগ্রহায়ণ মাস জুড়েই বিভিন্ন দিনে বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন
উৎসব পালিত হয়।তবে একই দিনে চারগ্রামের সবাই নবান্ন উৎসব পালন করেন এমন দৃশ্য দেখা যায়,পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ঘোড়ানাশ, মুস্থূলী, আমডাঙ্গা ও একডেলা গ্রামে।গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান,বহুবছর ধরে এই চার গ্রামের নবান্ন উৎসব একই দিনে হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই চারগ্রামে দুর্গাপুজো,কালীপুজো, সরস্বতীপূজো সহ অন্যান্য পুজো হলেও এই নবান্ন উৎসবকে ঘিরে বাসিন্দারা মেতে ওঠেন।বুধবার সকালে চারগ্রামে দেখা গেল উৎসবের আমেজ।চারিদিকে সাজ সাজ রব।বাড়ির মহিলারা কোথাও পুজোর থালা সাজাতে ব্যস্ত।কোথাও বা আলপনা দেওয়ার কাজ চলছিল।নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে চারগ্রামে প্রায় ৪০ টির মতো বিভিন্ন রকমের প্রতিমা পুজো হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কোথাও অন্নপূর্ণা, কোথাও শিব-দূর্গা,কোথাও মহাকাল সহ বিভিন্ন প্রতিমা পুজো হচ্ছে।আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহ শোভাযাত্রায় একে অপরকে টেক্কা দিতে ব্যস্ত থাকবে বলে পুজো কমিটিরা জানান
।যুগ যুগ ধরে এ ভাবেই দুদিন ধরে মেতে ওঠে ঘোড়ানাশ, মুস্থূলী, আমডাঙ্গা ও একডেলা গ্রামের বাসিন্দারা।