উত্তরবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: কাজই সম্পুর্ন হয়নি সেতুর অথচ তারই উদ্বোধন হচ্ছে রবিবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকমই প্রচারের জেরে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হলেন জলপাইগুড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের জনতা।
বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল সাইটে ঘুরছিল একটি চিঠির ছবি।যাতে লেখা রয়েছে জলপাইগুড়ির হাকিমপাড়া ও বাবুপাড়ার মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী করলা সেতুর উদ্বোধন হবে রবিবার অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি।এই সেতুটি ঐতিহ্যবাহী দোলনা সেতু নামেও পরিচিত।সেই অনুযায়ী সূচনার সাক্ষী থাকতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এলাকায়।কিন্তু তারপর সকলে যা দেখলেন তা আশাহত হওয়ারই।
ঘটনা হচ্ছে ওই সেতুটির কাজ চলছে এবং জোর কদমেই চলছে। কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন যে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই জলপাইগুড়ির করলা সেতু উদ্বোধন করা যাবে। এখনও অবধি মূল সেতুটির কাজ প্রায় ৯৫শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কাজ বাকি রয়েছে সেতুটির সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা। সেতুর কাজ যখন এভাবেই চলেছে তখন তাই নিয়ে মিথ্যে প্রচার করা হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তা করা হচ্ছে কোনও এক গূঢ় অভিসন্ধি নিয়ে সেতু উদ্বোধনের একটি ভুয়ো চিঠির মাধ্যমে চলছে এই অপপ্রচার। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এসজেডিএ চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন থেকে শুরু করে পুরসভার কর্মকর্তারা।
জলপাইগুড়ির সমাজপাড়া এলাকায় সুনীতিবালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে নব নির্মিত করলা সেতুটি উদ্বোধন নিয়ে কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হচ্ছে তা খুব বেশি স্পষ্ট না হলেও মনে করা হচ্ছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানুষের বিরক্তি এবং অবিশ্বাস তৈরি করার উদ্দেশ্যে নিয়েই এই ভুয়ো চিঠির মাধ্যমে মিথ্যে প্রচার চালানো হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি সেতুটি উদ্বোধন হবে বলে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সেতু উদ্বোধনের কথা জেনে রবিবার সকালে অনেকেই চলে আসেন জলপাইগুড়ির সমাজপাড়ায়।
এখানে আসার পর উৎসাহী মানুজন দেখতে পান সেতুর উদ্বোধন হওয়া দূরের কথা তার কাজ এখনও বেশ কিছুটা অসম্পূর্ণ । এজন্য অনেক আশা নিয়ে এসেও হতাশ হয়ে ফিরে যান সকলে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এসজেডিএ চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন। বলেন, যারা এধরণের মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।তিনি উপরমহলে বিষয়টি জানাবেন।
এই মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। একদিকে মানুষ যেমন এসে বিরক্ত হয়ে ফিরে গেছেন তেমনই অন্যদিকে যেদিন এই সেতুর সত্যি উদ্বোধন হবে সেদিন পাছে বিভ্রান্তির শিকার হন এই ভেবে অনেকে আসতে চাইবেননা। গোটা বিষয়টিকে পাকা মাথার কাজ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর পেছনে কারা রয়েছে তা জানতে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত সরগরম এলাকা।