নিজস্ব সংবাদদাতা: হিসাব মত ১২তারিখ মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখুনি প্রত্যাহার করা হচ্ছেনা কন্টেনমেন্ট জোনগুলি। নতুন করে ওই সমস্ত জোন এলাকায় সংক্রমন না হলেও সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে আরও কয়েকদিন অন্তত ১৫মে অবধি নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে এমনটাই জানা গেছে। প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে এমনিতেই সাধারন ভাবে কন্টেনমেন্ট জোনের মেয়াদ ১০ দিন। ৪ তারিখ জোন ঘোষনা হলেও পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে ৫ তারিখ বিকেল হয়ে যায়। বাফার জোন গুলি হয়েছে আরও পরে। তাই ১০দিনের অনেকটাই কম হচ্ছে তাছাড়া রাজ্যের পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর নয়। সংক্রমিত জায়গা গুলি ফের সংক্রমনের একটা সম্ভবনা থেকেই যায়। তখন আবার নতুন করে সব কিছু করতে হবে তার চেয়ে বরং আরও কয়েকটা দিন রেখে দেওয়াই ভাল। সব কিছু মিলিয়েই জেলা শাসক চাইছেন আরও কয়েকটা দিন কন্টেনমেন্ট থাকুক।
উল্লেখ্য খড়গপুর, মেদিনীপুর ও ঘাটাল ও দাসপুর মিলিয়ে মোট ৫ টি জোন প্রথম স্তরে ঘোষনা হয়। পরবর্তী কালে মেদিনীপুরে একটি জোন বাড়ে। পাশাপাশি ক্ষীরপাইয়ে এক বৃদ্ধ আক্রান্ত হওয়ায় আরও একটি জোন বাড়ানো হয়। এরমধ্যে ক্ষীরপাই বাদ দিলে বাকি জোন গুলি বুধবারই উঠে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখুনি তা উঠছেনা বলেই জানা গেছে। কেবল দাসপুর প্রত্যাহাররের কথা ভাবা হচ্ছে। কারন এই জোনটি বহুদিন ধরেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে। অন্যদিকে ক্ষীরপাইয়ের জোনটি ২৫ মে অবধি চলার কথা।পাশাপাশি মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালের এক তরুনী চিকিৎসাকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় বুধবার সেই হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাটি কন্টেনমেন্ট জোন বলে ঘোষনা করা হয়েছে যা বুধবার থেকেই বলবৎ করা হবে। সংলগ্ন এলাকায় বাফার জোনও গড়ে তোলা হবে। যদিও সরকারি ভাবে এই জোনের কথা এখুনি ঘোষনা হয়নি।
পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আরও ১৪টি করোনা নুমনা সংগ্ৰহ কেন্দ্র করা হচ্ছে। এরফলে বর্তমানের চেয়ে তিনগুন বেশি করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলেই জানা গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার আরও বেশি বেশি করে পরীক্ষা করাতে চাইছেন তাই নতুন কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। এরফলে দ্রুত আক্রান্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। প্রস্তাবিত ওই সব কেন্দ্রে নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজনীয় উপাদান ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই পাঠানো হবে।