নিজস্ব সংবাদদাতা: নতুন কিছুই নয়, জায়গাটা ছাড়া। ১১বছর আগে জায়গাটার নাম ছিল ওয়ারাঙ্গাল আর এখন সাইবারাবাদ। ১৯৯৬ সালের আইপিএস ব্যাচ সি.ভি.সজ্জান তখন ওয়ারাঙ্গাল জেলার পুলিশ সুপার। আজকের মতই সেদিন ভোরেও চমকে উঠেছিল সাবেক অন্ধ্রপ্রদেশ। পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল তিন অভিযুক্তর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০০৮ সালের সেই মাসটাও ছিল ডিসেম্বর। মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাকটিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সয়ের দুই ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড হামলা হয়। আভিযোগ শ্রীনিবাস রাও নামক এক ছাত্রের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল ওই দুই ছাত্রীর একজন। এরপরই শ্রীনিবাস ও তার দুই বন্ধু পি হরিকৃষ্ণা ও বি.সঞ্জয় অ্যাসিড ছোঁড়ে ওই দুই ছাত্রীর ওপর। পুলিশ গ্রেপ্তার করে তিনজনকেই। আর গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় আজকের মতই ঘটনার পুনর্নির্মানের জন্য। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই পুলিশের ওপর ‘আক্রমনের চেষ্টা’য় গুলি করে মারা হয় ২০বছরের ওই তিনজনকেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেদিনের এসপি আর আজকের সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার বিশ্বনাথ সি সজ্জানারই সেদিন বাছাই করা পুলিশের একটি টিমকে পাঠিয়ে দেন ওই তিনজনকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য। পুলিশের হেফাজতে থাকা সেই তিন অভিযুক্ত নাকি একটি দেশি পিস্তল দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। আর তখনই আত্মরক্ষার খাতিরে গুলি চালায় পুলিশ। কি আশ্চর্য ! সেদিনও ভোর রাতে মৃত্যু হয় তিন অভিযুক্তের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘরে ঘরে তখন সজ্জানারের নাম। দেশ জুড়ে এই ধরনের ঘটনায় এনকাউন্টারের দাবি জানাচ্ছেন সকলে। সেবারও তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘হিরো।’ কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি আজও যে, পুলিশের হেফাজতে থাকা সেই যুবকদের হাতে দেশি পিস্তল এল কি ভাবে? ১১ বছর পর আবার ১৯৯৬ আইপিএস ব্যাচের সেই অফিসারের নাম। বর্তমানে তিনি সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখল তেলেঙ্গানা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
৪৪নম্বর হায়দ্রাবাদ-ব্যাঙ্গালুরু জাতীয় সড়ক ঘেঁষে চাট্টানপল্লী জুড়ে তাই সকাল থেকেই ‘জয় সজ্জানার’, ‘জয় সজ্জানার’ আওয়াজ উঠছে। একইসঙ্গে অভিনন্দন জানাও হচ্ছে তেলেঙ্গানা পুলিশ ও কে চন্দ্রশেখর রাও-কে। পুলিশের উপর পুষ্পবৃষ্টি করছে সাধারণ মানুষ। মুখে তুলে দিচ্ছে মিষ্টি। কেউ কেউ বলছেন, এভাবে এনকাউন্টার করা ঠিক নয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনা হচ্ছে এই তথাকথিত এনকাউন্টার হয় হায়দ্রাবাদেই বেশি। দেশের মানচিত্রে এনকাউন্টারের কুখ্যাতি রয়েছে এখানকার পুলিশের। ২০১৫তে জনগাঁও তে ৫জন পুলিশের গুলিতে মারা যায়। সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত এই ৫জনকে আদালতে পেশ করার সময় তারা নাকি পুলিশের ওপর হামলা করে পালানোর চেষ্টা করেছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কয়েকবছর আগে চিত্তুর জেলায় ২০জন পুলিশের গুলিতে মারা যায়। এরা নাকি চন্দন কাঠ চোরা কারবারে যুক্ত ছিল বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ জানিয়েছিল জঙ্গলে অভিযান চালানোর সময় এরা পুলিশের ওপর আক্রমন চালায়। যদিও ময়নাতদন্তে জানা গেছিল এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুবই কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল।