ওয়েব ডেস্ক : বিশ্বভারতীর পৌষমেলা মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে অশান্তির ঘটনার তদন্তভার নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। এই ঘটনার তদন্তের দায়ীত্ব হাতে পাওয়ার পরই বেশ কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে চাইছে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবারের ঘটনায় পৌষমেলার মাঠে আচমকা কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে অশান্তি শুরু করে। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় গেট ও পাঁচিল। এই গেট ও পাঁচিল ভাঙার জন্য একটি জেসিবি পেলোডার ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই পোলডারটি পরিকল্পনা মাফিক অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল কিনা, সেই সাথে ওই দিন মাঠে যে লোকজন জড়ো হয়েছিল তাদের মাঠে জড়ো হওয়ার জন্য কোনোরকম টাকা দিয়ে প্রভাবিত করা হয়েছিল কিনা ও পাঁচিল ভাঙার লোকদের টাকা দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই নানা তথ্য জানতে ইডি আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন।
যদিও এই ঘটনায় ইডির তরফে অনুমান করা হচ্ছে, এর পেছনে অবশ্যই কোনো সংগঠন জড়িয়ে রয়েছে। তারাই সোমবার সকালে মানুষজনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে লোক জোগাড় করেছিল। পাশাপাশি, মেলার মাঠ বাঁচানোর দাবিতে আগে থেকে একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। কোনোভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেলার মাঠ ঘিরে দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করে সেখান থেকেই ঘটনার কথা জনগণকে জানিয়ে এত লোক একসঙ্গে জোগাড় করা সম্ভব কি না তাও খতিয়ে দেখছে ইডি। একই সাথে ইডির তরফে আরও একটি বিষয় নজরে রাখা হচ্ছে, সোমবার যারা গোলমালে করেছিল তারা কোন ব্যক্তি বা সংগঠের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অশান্তি করেছিলেন কিনা তা ইডি আধিকারিকদের তরফে খতিয়ে দেখা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বভারতীর এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত নথি পাওয়ার জন্য ইডির পক্ষে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিশ্বভারতীর অশান্তির পর বিশ্বভারতী ও স্থানীয়দের কথা শুনতে বুধবার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারার তরফে বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে বিশ্বভারতীর প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন না বলে সোমবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত সেই বৈঠক বাতিল করেনি জেলা প্রশাসন। এদিকে বুধবার বিশ্বভারতীর তরফে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তা বাতিল করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণবশত এই প্রতীকী অনশন বাতিল করা হচ্ছে।