নিউজ ডেস্ক: আইকোর মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডির তলব। আইকোরের অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল। আইকোর কর্তাদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কী সম্পর্ক তা জানতেই ইডি ডেকে পাঠিয়েছে তৃণমূল নেতাকে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে এই একই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল অপর কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তবে ব্যস্ততা থাকায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি তৃণমূলের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা। আগামী সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাল ইডি। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার আরও এক বিদায়ী কাউন্সিলরকেও তলব করেছে ইডি।
আইকোর সংস্থার অনুষ্ঠানমঞ্চে এক সময় দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইকোর সংস্থার কর্তাদের ঠিক কী সম্পর্ক তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আইকোর মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। কলকাতায় সিবিআইয়ের সদর দফতরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়িয়েছেন। ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি সিবিআই দফতরে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সিবিআই ফের তাঁকে ডেকে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে।
এদিকে একই মামলায় এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও কলকাতা পুরসভার এক বিদায়ী কাউন্সিলরকেও নোটিশ পাঠিয়ে তলব করেছে ইডি। ওই কাউন্সিলরের সঙ্গেও আইকোরের কী সম্পর্ক তা জানতে চান ইডি-র অফিসাররা। জানা গিয়েছে, আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতিকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেই সূত্র ধরেই এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কলকাতা পুরসসভার বিদায়ী কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে চিঠি করেছে ইডি। দু’জনকেই আগামী সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই। বঙ্গে বিধানসভা ভোট শুরুর আগে থেকেই কয়লা, গরু পাচার-সহ বাংলার একাধিক কেলেঙ্কারির তদন্তে গতি বাড়ায় সিবিআই ও ইডি। একইসঙ্গে সারদা, রোজভ্যালি, আইকোর-সহ একাধিক অর্থলগ্নি সংস্থার বিপুল দুর্নীতির তদন্তেও তৎপরতা তুঙ্গে কেন্দ্রীয় একাধিক সংস্থার। আইকোর নামে এই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও লগ্নিকারীদের কোটি-কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও নাম জড়ায়।