![]() |
ঝাড়গ্রাম, কদমকানন |
নিজস্ব সংবাদদাতা: যাঁরা এখনও দেখেননি সময় করে দেখে নিন কারন হাতে সময় আছে দেড় ঘন্টা। সাড়ে ১১টার পর শেষ হয়ে যাচ্ছে এই দশকের শেষ বলয়গ্রাস। না অবশ্যই খালি চোখে নয়, যোগাড় করে নিন অব্যবহৃত এক্সরে প্লেট যার গাঢ় কালো অংশ দিয়ে সহজেই চোখে পড়বে এই আংশিক গ্রাস। তবে সাবধান কোনভাবেই যেন খালি চোখে দেখতে যাবেননা। চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বছরের শেষ মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী বিশ্ববাসী।আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ২৭ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে দশকের শেষ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। চলবে প্রায় তিন ঘণ্টা – ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। আর এই দীর্ঘ সময় ধরে যা দৃশ্যম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সবচেয়ে ভালভাবে গ্রহণ প্রত্যক্ষ করা যাবে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ৯টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত।
তবে আজ খড়গপুর মেদিনীপুরের আকাশ মেঘলা আছে বলে একটু অসুবিধা হচ্ছে । তবে মেঘ সরলেই চোখে পড়ছে গ্রহন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিন খড়গপুরের আইআইটি সংলগ্ন এলাকা, গোপলী ঘাগরার ফাঁকা মাঠ থেকে আংশিক গ্রহন দেখা যাচ্ছে খুব ভাল মতন। মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি ও রেলব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়, গোপগড়ে উৎসাহী তরুন তরুনী ছাত্রছাত্রীর দল ভিড় জমিয়েছিলেন বলয়গ্রাস দেখার জন্য।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঝাড়গ্রাম জেলা বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে এদিন সূর্য গ্রহন দেখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের অন্যতম সংগঠক জানিয়েছেন মানু্ষের মধ্যেকার কুসংস্কার দুর করে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা এবং মহাজগতের এই বিরল গঠনার স্বাক্ষী থাকার জন্য ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন এলাকায় আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কচিকাঁচাদের ফিল্টার চশমা দেওয়া হয় এবং পিনহোল ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যা দেখতে ভিড় ভেঙে পড়ে।
![]() |
খড়গপুর থেকে মোবাইলে তোলা |
কদমকাননে এদিন বলয়গ্রাস দেখেছে কুমার মান্ডি, সুর্য রায়, খেলা হাঁসদা , রতন টুডুর মত কচিকাঁচার দল। এদিন শিবির করে পড়ুয়াদের সূর্য গ্রহণের দৃশ্য দেখানোর ব্যবস্থা করেছে গোয়ালতোড়ের আমলাশুলি ইন্দ্রনারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে সেজন্য সান ফিল্টার দেওয়া হয়। ওই সান ফিল্টারের মাধ্যমেই মহাজাগতিক এই বিরল দৃশ্য উপভোগ করে পড়ুয়ারা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই দৃশ্য দেখানোর জন্য বুধবার থেকেই বিদ্যালয়ে আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তাঁবু খাটিয়ে পড়ুয়াদের গ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থার পাশাপাশি গ্রহণ নিয়ে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয় বিদ্যলয়ের পক্ষ থেকে। আর এই বিরল দৃশ্য দেখার জন্য এদিন সকাল থেকে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ শিকদার জানিয়েছেন, ‘ এর আগে আমরা শুক্রের সূর্য অতিক্রমের ঘটনা দেখানোর ব্যাবস্থা করেছিলাম, তাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করেছিলাম। তাদের সেই উৎসাহ কে মাথায় রেখেই এদিন আমরা সূর্যগ্রহণ দেখানোর ব্যাবস্থা করেছি।এবারও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। সকাল আট টা থেকে এগারোটা পর্যন্ত এই সুর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখানো হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও অঞ্চল থেকে দৃশ্যমান হতে পারে বিরল রিং অফ ফায়ার কিংবা সৌরবলয়। অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ভালভাবে দৃশ্যমান হয়েছে গ্রহণ। এই তিন ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। বর্ষবরণ পর্যন্ত শীতের দাপট চলবে।
এবারের সূর্যগ্রহণ বলয়গ্রাস। এই সময় খালি চোখে সূর্যের দিতে তাকানো উচিত নয়। বিশেষ চশমা দিয়ে গ্রহণ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভুবনশ্বর, চেন্নাই-সহ একাধিক জায়গার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সকাল থেকেই ভিড় উৎসাহী জনতার।