নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার দুপুরে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বর। এদিন ফের বন্দিদের থাকার একটি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় একদল বন্দি। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন এডিজি কারা পীযূষ পাণ্ডে-সহ কারা দফতরের শীর্ষ কর্তারা। অন্যদিকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার নেতৃত্বে ঘটনা স্থলে পুলিশের বিশাল বাহিনী।
শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশির পর রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি থমথমে ছিল জেলে। সূ্ত্রের খবর, রাতে বড় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল জেলে। আর সেই পুলিশের ওপরে রাতেও এক দফা ইট ছোড়েন বন্দিরা। দুপুরের দিক থেকে ফের পরিস্থিতির অবনতি হয়। ফের ওয়ার্ড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া হয়। রাতে পুলিশের তল্লাশিতে আরও একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন সিআইডি কর্তারা।
অন্যদিকে শনিবার দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পুলিশ-বন্দি সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। রবিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দমদম জেল কর্তৃপক্ষ যাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁদের মধ্যে চারজনকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। চার জনেরই দেহ রয়েছে আরজি কর হাসপাতালের মর্গে।বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেল কর্তৃপক্ষ শনিবার ২৩ জনকে ভর্তি করেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার মৃতদের একজনকে অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলে শনাক্ত করেছেন মৃতের মা। অর্ঘ্য লেকটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা। মাদক পাচারের একটি মামলায় বিচারাধীন ছিলেন তিনি।
অন্য দেহগুলি এখনও কেউ শনাক্ত করেননি। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভাবে যে নাম তাঁদের দিয়েছেন,সেই অনুযায়ী মৃতদের নাম কমলেশ রায় ওরফে মাহাতো, বাদল মণ্ডল এবং শেখ নূর হোসেন। তবে এখনও রাজ্য কারা দফতর বা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ক’জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে বা কত জন আহত হয়েছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয় নি।