পলাশ খাঁ: মদ্যপ অবস্থায় লরি চালানোর শখ মেটাতে গিয়ে একটা ক্লাব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন এক বিজেপি নেতা ও তার ২ শাকরেদ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার অন্তর্গত মহাশোল গ্রামে। ক্লাব সমেত দুটি ভবন ভাঙার পর লরিটি গিয়ে আটকে যায় একটি গাছের গুঁড়িতে। ঘটনার ৫মিনিট আগেই ক্লাব ছেড়ে বেরিয়ে গেছিলেন ক্লাবের জনা ১২সদস্য। ফলে বড়সড় প্রাণহানির ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে গ্রাম। ঘটনার পর ক্রুদ্ধ গ্রাম বাসীরা লরিটিকে আটক করে রেখেছে। পুলিশ গিয়েও জনতাকে শান্ত করে লরিটি উদ্ধার করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে লরিটির মালিক গড়বেতা এলাকার কিন্তু গাড়ির চালক মহাশোল গ্রামের। কখনও সখনও ওই চালক লরিটি এনে গ্রামের ক্লাব সংলগ্ন দুর্গা মন্দিরের মাঠে রাখত। সেই মত মঙ্গলবার চালক ১২ চাকার লরিটি এনে মাঠে রেখেছিল। এরপরই সেখানে গিয়ে হাজির হয় স্থানীয় বিজেপি নেতা মিঠু মাহাত ও তার দুই ঘনিষ্ঠ যুবক। এমনিতেই মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে মিঠু ওই এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে মদের আসর বসায়। মদ খেয়ে মাতলামি করে। মিঠু ও তার দুই শাকরেদ মিলে চালকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে এবং গাড়ির ইঞ্জিন চালু করে দেয়। এরপরই গাড়ি গড়াতে শুরু করে। চালকের অভিযোগ তিনজনের মধ্যে কে গাড়ি চালাবে এই নিয়ে প্রতিতযোগিতা শুরু হয়ে যায়। গাড়ি গড়াতে শুরু করে। এরপরই ১২চাকা গাড়ির ধাক্কায় মহাশোল সবুজ সংঘ ক্লাবের পাকার দেওয়াল ভেঙে গাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে পাশেই থাকা একটি বসত বাড়িতে। এরপরও গাড়ি গড়াতে থাকে এবং গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার পাকা রাস্তা টপকে একটি বড় গাছে ধাক্কা মেরে কোন রকমে আটকে যায়। দুর্ঘটনার পর এই এলাকায় ছেড়ে পালিয়ে যায় স্থানীয় ওই তিন যুবক।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ মাত্র কয়েক মিনিট আগে এই ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ হতাহত হওয়ার মত পরিস্থিতি ছিল কারন সেই মাত্র অনেকে বসে ক্লাবে টিভি দেখা ছেড়ে ক্লাব বন্ধ করে চলে গেছিল। এছাড়া ক্লাবের পাশে অবস্থিত চা দোকানে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে থাকেন , তাছাড়া রাস্তা দিয়েও প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত যদি রাস্তার পাশেই বিদ্যুতের খুঁটিতে লরিটি ধাক্কা মারত। গ্রামের লোকেরা লরিটিকে আটকে রেখেছে। তাঁদের দাবি ক্লাব মেরামত বাবদ টাকা অথবা ক্লাবটি মেরামত না করে দেওয়া অবধি লরি ছাড়া হবেনা।