নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনা পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি ভয়াবহ। মারণ ভাইরাসটি সাধারণ মানুষের অবহেলার সুযোগ নিয়েই চোখ রাঙাচ্ছে। আর রবিবারের বুলেটিন বলছে, দেশে প্রথমবার একদিনে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা পেরোলো আড়াই লক্ষের গণ্ডি। উদ্বেগ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের সেটা বলাই বাহুল্য। মহারাষ্ট্র ছাড়াও পাঞ্জাব, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিও রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশ জুড়ে করোনার বলি হয়েছেন ১ হাজার ৫০১ জনের।
দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ১০৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ১৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪২৩ জন। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯ হাজার ৬৪৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৮ লক্ষ ১ হাজার ৩১৬। টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ । কিন্তু টিকাকরণেও যেন বাগে আনা যাচ্ছে না কোভিড-১৯-কে। সেই কারণেই নতুন করে দেশের একাধিক শহর আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে শনিবার ৬৭ হাজার ১২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনের হিসেবে এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ৪১৯ জনের। রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষে গিয়ে পৌঁছেছে। দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪ হাজার জন। আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। তার উপর হাসপাতালগুলিতেও শয্যা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অক্সিজেনের অপ্রতুলতা ভাবাচ্ছে সরকারকে। সংক্রমণ রোধে মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। দিল্লিতে জারি হয়েছে কার্ফু। ই-পাস ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী সরকারও। রবিবার সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার না করলে হতে পারে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা।