নিজস্ব সংবাদদাতা: যা হয়নি করোনা কালের শুরু থেকে তাই হল এবার বাংলায় দৈনিক সংক্রমনের যাবতীয় রেকর্ড ভাঙল রাজ্য। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৪, ৩৯৮ জনের মধ্যে ১,১০৯ জনই কলকাতার। না, গত বছর মার্চ মাস থেকে শুরু করলে ১২ মাস পেরিয়ে এই রেকর্ড আগে হয়নি। এ থেকেই অনুমেয় কোথায় যেতে চলেছে দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলার করোনা সংক্রমন। বাংলা এবং মহানগর কলকাতায় একই অবস্থা। দু জায়গাতেই নতুন রেকর্ড হল রবিবার। কলকাতার পরই দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৪৭ জন। তৃতীয় স্থানে হাওড়া, আক্রান্ত ২৯৩ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ২৮৮ জন। একমাত্র কালিম্পং বাদ দিলে রবিবার সব জেলা থেকেই মিলেছে নতুন সংক্রমিতের হদিশ। ফলে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬, ১৪, ৮৯৬।
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। এরমধ্যে আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় ২৩, আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় ৬ এবং ট্রুনাট পরীক্ষায় ১১জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। শনিবার জেলায় ৩৮ জনের করোনা সংক্রমন চিহ্নিত হয়েছিল । রবিবার ২ বেড়ে যে ৪০ জন সংক্রমনের আওতায় এলেন তার মধ্যে খড়গপুর শহরেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। এদিন খড়গপুর শহরের রেল সূত্রে সংক্রমনের হার বেশি। রেলের পাঠানো নমুনা থেকে ৯ জনের সংক্রমন মিলেছে। এরা রয়েছেন শ্রীকৃষ্ণপুরের ৭৮ বছরের মহিলা , নিমপুরা রেল আবাসন ৬২ বছরের পুরুষ , মথুরাকাটি রেল আবাসন ৫২ বছরের মহিলা, ছোট আয়মা ৫৩ বছরের মহিলা, সাউথ সাইডে এক ডাক্তারের পরিবারের ২৯ বছরের মহিলা ,ছোট ট্যাংরার ৬৩ বছরের মহিলা ছাড়াও ৫৫, ৪৩, ৫৬ বছরের পুরুষ কর্মচারী যারা রেল আবাসনে থাকেন।
রেল এলাকার বাইরে খড়গপুর শহরের নিউ ডেভলপমেন্ট এলাকায় ৩৪ বছরের পুরুষ, সাউথ ইন্দা ৫৯ বছরের পুরুষ, সালুয়া ২২ বছরের মহিলা, উত্তর ইন্দা ২২ বছরের যুবক ও পুরাতনবাজারের সাঁজোয়াল এলাকায় ২৯ বছরের মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসের একজন ৩৭ বছর বয়সী পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমনের ধারা অব্যাহত মেদিনীপুর শহরেও। রবিবার ১১ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমন ধরা পড়েছে।
পালবাড়ি এলাকায় ফের এক ২২ বছরের যুবক আক্রান্ত হয়েছেন। মহাতাবপুরে একই পরিবারের ৭২ বছরের বৃদ্ধ, ৬৯ বছরের বৃদ্ধা ও ৪৪ বছরের মহিলা সহ ৩জন আক্রান্ত, মেদিনীপুর শহরের আরও এক ৬৪ বছরের বৃদ্ধা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও অরবিন্দনগরে ৩৮ বছরের গৃহবধূ, কর্নেলগোলায় ৩৬ বছরের যুবক, সিপাহীবাজার ৫৬ বছরের পুরুষ, তাঁতিগেড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় আবাসনে ১৬ বছরের কিশোরী ছাড়াও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ৩৪ বছরের মহিলা এবং ৪২ বছরের পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মেদিনীপুর সদর গ্রামীনের পলাশবনী চাঁদড়া এলাকায় ২০ যুবতী আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিন শালবনীর ওড়িশা সিমেন্ট লিমিটেড বা ও সি এলের ২৭ ও ৩০ বছর বয়সী পুরুষ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে শালবনী ট্যাঁকশাল বা বিআরবি ক্যাম্পাসে একই সাথে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এঁরা হলেন ৫৫ ও ৫৯ বছরের ২ জন পুরুষ এবং ২৯ বছরের এক যুবক। এছাড়াও ঘাটালের কুশপাতার ৩৫ বছরের যুবক, চন্দ্রকোনার গোহালসিনিতে ৪৮ বছরের পুরুষ, দাসপুর ২ ব্লকের মহব্বতপুরে ৬৭ বছরের পুরুষ ও ৩২ বছরের মহিলা। এই জেলায় করোনা পরীক্ষা করে ঝাড়গ্রামের বকুলতলা গ্রামের ২৮ বছরের এক যুবক পজিটিভ হয়েছে।