ওয়েব ডেস্ক : বুধবারই বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হয় সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর বদলে ওই পদে অমিতাভ চক্রবর্তীকে বহাল করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বহুদিনের দক্ষ সাংগঠনিক সম্পাদককে নির্বাচনের আগে আচমকা অপসারণ নিয়ে বৃহস্পতিবার আক্ষেপের সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। তবে আচমকা সুব্রতবাবুকে সরানো হল কেন? এবিষয়ে অবশ্য বুধবার গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে উদ্দীপনা সঞ্চারের জন্যই তাঁর জায়গায় অন্যকে বসানো হয়েছে। তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রতবাবুকে সরালে পদত্যাগের হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছিলেন দিলীপ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে কাজ হয়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বাগুইআটির জ্যাংরায় এক চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে পৌঁছে এদিন দিলীপবাবু বলেন, “আমরা সংগঠন করতে এসেছি। সংগঠন যাকে যা দায়িত্ব দেয় সেই দায়িত্ব আমরা পালন করি। সুব্রতদা বিজেপিতে ৫-৬ বছর কাজ করেছেন, তারপর ওকে হয়তো অন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে। সংগঠনে পরিবর্তন চলতেই থাকে।”
দিলীপবাবুর সঙ্গে সুব্রতবাবুর বন্ধুত্কথা গেরুয়া শিবিরে কারো অজানা নয়। ফলে নির্বাচনের আগে আচমকা সাংগঠনিক পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির তরফে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বহু কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেও তাদের যতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল তা দিচ্ছেন না সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এর ফলে তৃণমূল থেকে আসা বহু কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেও দলের মধ্যে গুরুত্ব না পেয়ে ফের ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। এর প্রভাব অনেকটাই নির্বাচনে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে সেকারণেই নির্বাচনের আগে দল ভারী করতে এই সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য বিজেপি।