অশ্লেষা চৌধুরী: একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ এগিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে উত্তরের বিধায়ক মিহির গোস্বামী সহ বিরোধী দলনেতাদের পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সাথে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছে আরজেডি। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। সেই নিয়েও রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এবার বাংলা পারলে সামলা”।
উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি আছেন রাজার শহর কোচবিহারে। সেখানে আজ প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে তিনি প্রথম সাগরদীঘির চার পাশ ঘুরে শহরের রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণ রোডের দক্ষিণ প্রান্তে চায়ের আসরে যোগ দেন। সেখানেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে এক প্রকার আক্রমনাত্মক সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “উত্তর-পূর্ব হয়েছে এবার পূর্বের বারি। বর্ডারে পরিবর্তন সাধারণ মানুষের মনে দোলা লেগেছে।আমি একটাই কথা বলবো এবার বাংলা পারলে সামলা।”
এখানকার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির বাবু কিছুদিন ধরে বিদ্রোহী হয়েছেন, তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন কই না, সেই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “বিদ্রোহী কি গোষ্ঠী কোন্দল আমি জানিনা। এটা ওদের পার্টির ব্যাপার। এরকম অনেক খবর আসছে। অনেক এমপি, বিধায়ক বলতে আরম্ভ করেছে। তাদের দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমরা বলেছি চলে আসুন খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিন। বিজেপিতে আসুন বাংলার পরিবর্তন করুন।”
বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক মিহির বাবুর বাড়ী গিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে দিলীব বাবুর সাফ কথা, ওনার পুরোনো পরিচিত, উনি গেছেন। এছাড়া বিজয়ার পর সবার বাড়ী যাওয়া উচিৎ। অনেকের কাছ থেকে এই ধরণের সিগন্যাল আসছে, সত্যি তারা যদি টিএমসির অত্যাচার ও দুরাচারে অতিষ্ট হয়ে থাকেন, পরিবর্তন করতে চান, আসুন তাহলে, আমরা আছি। আমরা বাংলার পরিবর্তন করতে চাই, উন্নয়ন করতে চাই। আমরা দিল্লীর রাজত্ব বিকাশ যাত্রার সাথে বাংলাকে যুক্ত করতে চাইছি।“
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যয়ের মতন শাসকদলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার গলার বিদ্রোহের সুর স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। সেই সকল নেতাদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিয়ে চলছে জোর তরজা। তারই মধ্যে আজ দিলীপ ঘোষের এভাবে বিরোধী দলের বিদ্রোহী নেতাদের প্রকাশ্যে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার আহ্বান সেই জল্পনাকে যে অনেকটাই উস্কে দিল, সে ব্যাপারে দ্বিমত নেই।