ওয়েব ডেস্ক :কোনোও তর্ক বিতর্ক সংঘাত, উপরোধ অনুরোধ আদালতের পথে না গিয়ে রথ যাত্রার নতুন দিগন্ত শুরু করতে চলেছে ইসকন। করোনা অতিমারির প্রভাবে যখন রথের চাকায় কার্যত বেড়ি পড়েছে, ভক্তরা, সেবায়াতরা মাথা খুঁড়ছেন আদলালতের কাছে রথযাত্রার আবেদন নিয়ে তখন বিশ্বের ৬টি মহাদেশেই রথ ছোটানোর আয়োজন করেছেন ইসকন কর্তারা। তাও একটা দুটো বা দশটা পাঁচটা নয়, ১০৮ টি রথে ভগবান পৌঁছে যাবেন ভক্তদের বাড়িতে!
পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে টানা পোড়েনের মধ্যে বিশ্বে প্রথমবার এবছর ইসকনে এক অভিনব উপায়ে, ডিজিটাল রথযাত্রার আয়োজন হতে চলেছে। বিশ্বের প্রায় ছ’টি মহাদেশে এই রথযাত্রা দেখানো হবে। এবিষয়ে মায়াপুর ইসকনের কমিউনিকেশন অফিসার সুব্রত দাস বলেন, “এটা বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল রথযাত্রা হতে চলেছে৷ আগামী ২৩ এবং ২৪ জুন ছ’টি মহাদেশে এই রথযাত্রা দেখানো হবে। ইসকনের তরফে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্সি ইন উইলস’। এই রথযাত্রায় মোট ১০৮ টি রথ থাকবে।”
জানা গিয়েছে, রথে অংশ নেওয়া থেকে ভোগারতি এবছর সবকিছুই হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতেই। এমনকি ‘যজমান’ হতে গেলেও বিনামূল্যে ডিজিটাল নেটওয়ার্কে মাধ্যমে নাম রেজিস্টার করা যাবে। রেজিস্টার করার পর তাকে একটি কোড এবং নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে। সেই কোড ও লিঙ্কের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে রথযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে। এবিষয়ে,ইসকনের বলেন, ” আগামী ২৩ জুন মায়াপুরে উৎসব শুরু হবে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দেখা যাবে। সকাল ১০ টা নাগাদ ১০৮ দিকে রথ বেরোবে। যে ভক্তদের কাছে কোড আছে, তাঁরা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী আরতি এবং ভোগ দিতে পারেন। এরপর রথ পরবর্তী যজমানের কাছে যাবে। পরদিন সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এরকম চলবে।”
এবিষয়ে, জয়পতাকা স্বামী বলেন, “মহামারীর বছর হওয়ায় ভক্তরা রাস্তায় বেরোতে পারবেন না এবং বড় করে উৎসব পালন করতে পারবেন না। তাই ভাবনাটা ছিল যে বলদেব এবং সুভদ্রার সঙ্গে সারা বিশ্বের ভক্তদের বাড়ি যাবেন ভগবান জগন্নাথ।” অন্যান্য বছর রথযাত্রায় দেশবিদেশের বহু মানুষের সমাগম হয় দেশের বিভিন্ন ইসকনে। কিন্তু এবছর করোনা সংক্রমণের কারণে ভক্তদের ভীড় এড়াতে, সেই সাথে ভক্তদের আনন্দ দিতে ইসকন কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ভক্তবৃন্দরা।