মাঝে দুই পাগলু |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বইপত্র, লেখাপড়া, অঙ্ক জ্যামিতি নয়, ভাল লাগে আকাশ, সমুদ্র, গাঙচিল। টলটলে জলে নেমে যাওয়া সূর্য। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে দিঘায় চলে এসেছিল কলকাতার দুই কিশোর কিন্ত শেষ রক্ষা হলনা। পুলিশের হাতে ধরাই পড়ে গেল দুই পাগলু।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ জানিয়েছে রেহান আলিও রাজীব আহমেদ নামের বছর ষোলোর ওই দুই কিশোর সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল।দিঘা পুলিশের তৎপরতায় মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।স্বভাবত পুলিশের ভূমিকায় খুশি ওই দুই কিশোরের পরিবার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার বিকেলের পর থেকেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ১১২ বি/১ তপসিয়া রোডের রাজীব এবং ২ আর রাধাগোবিন্দ সাহা লেনের রেহান আলি।কলকাতার সেন্ট থমাস ডে স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র তারা। কাঁধে বইয়ের ব্যাগ ঝুলিয়ে রাজীব এবং রেহান স্কুলে আসার নাম করেই হাওড়া স্টেশনে চলে আসে। রাতটা কোনও রকম কাটিয়েই সকালে ট্রেন ধরেই চল গাড়ি বেলপাহাড়ী থুড়ি, দিঘা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু তাল কেটে যায় দিঘা স্টেশনে নেমে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করতে গিয়ে নজরে পড়ে যায় পুলিশের। তাদের দিঘা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।দিঘা থানার ওসি বাসুকি ব্যানার্জি বলেন,”পড়াশোনার প্রতি অনীহা ছিল তাদের।বাড়ির লোকেরা বকাবকি করেছিলেন।সে জন্য সহপাঠী দুই বন্ধু আলোচনা করে ট্রেন ধরে দিঘা পালিয়ে এসেছিল।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরিবার অবশ্য ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ডায়রি করে রেখেছিল। রাজীব, রেহানের উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়েই বিকেলে দিঘা এসে পৌঁছান তাদের বাবা শেখ সানোয়ার ও নাসির আহমেদ।দিঘা থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।তাঁদের বক্তব্য,দুই কিশোরই ভীষণ চঞ্চল ও দুরন্ত। পড়াশোনার প্রতি বিন্দুমাত্র মন ছিল না তাদের।রাজীব ও রেহানের দাবি— পড়াশোনা ভাল লাগে না তাদের।সে কারণে বাড়ির লোকেদের বকুনি খেয়েই দুজন মিলে কোথাও চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই উদ্দেশ্যেই বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলে তারা ঘর ছাড়ে।বাস ধরে পৌঁছায় হাওড়া।রাতভর স্টেশনে কাটিয়ে সকালে টিকিট কেটে দিঘার ট্রেনে উঠে পড়ে তারা।তাদের আক্ষেপ,কিন্তু দিঘায় পুলিশ আমাদের রাস্তা থেকেই ধরে নিল। তবে দুজনেই জানিয়েছে তাদের জীবনের সেরা রাত হাওড়া স্টেশন আর সেরা সফর হাওড়া থেকে দিঘা ট্রেনে আসা। বাড়ি থেকে না পালালে অমন সবুজ মাঠ আর খোলা হাওয়া নাকি অচেনাই থেকে যেত। কলকাতায় দমবন্ধ হয়ে আসে যে!