নিজস্ব সংবাদদাতা: সাত মাসের মাথায় আবার ট্রলার ডুবিতে দিঘাতে আর এবারও সেই বালির চড়াতেই ধাক্কা খেয়ে সলিল সমাধি ট্রলারের। এই নিয়ে এই বছরেই চারবার ট্রলার ডুবির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মৎসজীবী মহলে কারন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একেকটি ট্রলার এভাবে ডুবে গেলে প্রচুর লোকসানের মুখে পড়তে হয় ট্রলার মালিকদের যে কারনে মৎসজীবিদের জীবন জীবিকাই বিপন্ন হতে বসেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার ‘কৃপাময়ী’ নামের ওই ট্রলারটি ডুবেছে দিঘা মোহনা থেকে সামান্য কিছুটা দুরত্বে। আভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই বারবার দাবি করা স্বত্তেও ড্রেজিং করা হয়নি ফলে চড়ার পর চড়া জমে জমে শক্ত হচ্ছে ভূভাগ।
চোখের সামনেই ডুবছে ট্রলার , দেখছেন মানুষ |
আর সে কারনেই হামেশাই দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয় ট্রলার গুলোকে। সামান্য অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রলার। এদিনও সকাল ৬টা নাগাদ নন্দীগ্রামে নিজেদের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিল ট্রলারটি তখনই এই বিপত্তি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মোট ১১জন মৎসজীবী ছিলেন ট্রলারটিতে। যার মধ্যে ১০জন উঠে আসতে সক্ষম হলেও একজন আটকে যায় বসে যাওয়া ট্রলারের ফাঁদে। আশে পাশে থাকা অন্য একটি মৎসজীবীদের ট্রলার এসে বসে যাওয়া ট্রলারটিকে কোনও রকম নড়াচড়া করানোর পরই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন ওই মৎসজীবি। পরে মোহনা থেকে একটি ভুটভুটি নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয় তাঁকে। জানা গেছে গভীর সমুদ্রে গিয়ে এবার ভাল মাছ পাননি এই মৎসজীবীর দলটি তাই নন্দীগ্রামে নিজেদের বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে তার থেকে মাত্র এক নটিক্যাল মাইল দুরে একটি বালির চড়াতেই যেখানে গত জুন মাসে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিন ফেটে আগুন লেগে গিয়েছিল ‘নর্মদা’ নামে একটি ট্রলারে। পরে জল ঢুকে যায় ডুবেও যায় ট্রলারটি। কয়েক লক্ষ টাকার মাছ সমেত ট্রলার মালিক ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছিলেন।দিঘা মোহনা ফিশারমেন এবং ফিশ ট্রেডার্স অ্যাশোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন ”২০১২সালে আংশিক ড্রেজিংয়ের পর থেকে আর ড্রেজিং হয়নি মোহনায় যার ফলে এই ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১ বছরের চতুর্থবার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটল।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৎসজীবিদের দাবি একেকটি ট্রলার সম্পুর্ন ক্ষতিগ্রস্থ হলে ৫০লক্ষ টাকা ক্ষতি হয় মালিকের যেমনটা জুন মাসে হয়েছিল অন্যদিকে আংশিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ৭ থেকে ১০লক্ষ টাকা। ফলে মৎসজীবিকা ক্রমশ সংকটের মুখে।