নিজস্ব সংবাদদাতা :দিঘার হোটেলে পর্যটক পরিবারের সর্বস্ব চুরির ঘটনায় হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকেই উঠছে আঙুল।বৃহস্পতিবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল ব্যারিস্টার কলোনির অভিজাত ডলফিন হোটেলে।চোরের দল ঘুমপাড়ানির রাসায়নিক জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে হাত সাফাইয়ের কাজ করে চম্পট দিয়েছিল।শুক্রবার নগদ ১৯ হাজার ৭০০ টাকা এবং একটি দামি মোবাইল চুরি যাওয়ার অভিযোগ পুলিশে জানিয়েছিলেন কলকাতার বাগুইআটির বাসিন্দা সন্দীপ গাঙ্গুলি।তদন্তে নেমে হোটেলের নজরদারি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফাঁক পেয়েছে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার ওসি সঞ্জয় মাইতি বলেন,”শুধু সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো ছিল না।ঘটনার দিন রাতে হোটেলে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিল না।হোটেল ঘরের জানালায় গ্রিল ছিল না।সব মিলিয়ে নিরাপত্তায় ভীষণ গাফিলতি ধরা পড়েছে।হোটেল কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা-নজরদারিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।পাশাপাশি হোটেল পারাগুলোতে রাতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই চুরির ঘটনায় এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।শনিবার তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ধরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাগুইআটি ফিরেছেন সন্দীপ গাঙ্গুলি।তাঁদেরও অভিযোগ হোটেলের বিরুদ্ধেই।সন্দীপের বক্তব্য, চুরিতে মদত ছিল হোটেল কর্তৃপক্ষের।”গাফিলতির অভিযোগ স্পষ্ট হতেই চুরির ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন হোটেল সংগঠকরা।দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “হোটেল কর্তৃপক্ষেরই এই চুরির দায় নেওয়া উচিত।প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিকভাবে হোটেলগুলোতে নিরাপত্তা-নজরদারির ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বারবার বলা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর তা না মানার কারণেই ঘটেছে এমন ঘটনা।আমরা সাংগঠনিকভাবে আবারও সমস্ত হোটেল এ ব্যাপারে সতর্ক করিয়েছি।প্রশাসনকেও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছি।”