নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্যাপক ভিড় হচ্ছে দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুর সহ সমুদ্র সৈকতে। পুজোর সময় সেই ভিড় উপচে পড়বে বলেই ইঙ্গিত। সমস্ত হোটেল প্রায় হাউসফুল। এত পর্যটক দিঘায় আসছে যে আর অন-লাইন নয় এখন স্পট বুকিং। যেহেতু ভিন রাজ্যে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেননা মানুষ, দার্জিলিংও যাওয়া হ্যাপা তাই হাতের কাছে দিঘাতেই ঝাঁপাচ্ছে সবাই। ফলে দিঘাই এখন হটস্পট। এই ব্যাপক পর্যটক সমাবেশের আগাম খবর পেয়েই রেলের কাছে বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুরোধ করেছিলেন দিঘার হোটেল মালিকদের সংগঠন। বুধবার ফসল মিলেছে তার। আগামী ২০ তারিখ থেকেই হাওড়া-দিঘা ট্রেন চালু হয়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন হাওড়া থেকে দিঘা ট্রেন চালু করছে রেল। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। রেলের পক্ষে এই ঘোষণা করা হলেও কখন সেই ট্রেন ছাড়বে সেই সময়সারণি এখনও জানানো হয়নি। জানা গেছে উৎসবের মরসুমে রেল ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর দেশে মোট ৩৯২টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তার মধ্যেই বাঙালির জন্য বড় সুখবর এনে দিল দিঘা গামী ট্রেন চালু হওয়ার খবর। করোনা আবহে দীর্ঘদিন নিয়মিত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আনলক চালু হয়ে গেলেও ট্রেন চলেনি তাই মানুষ বাস, চারচাকা, বাইকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রিয় সৈকত শহরে। এবার চালু হয়ে স্পেশাল ট্রেন। ফলে পুজোয় সাগর স্নানের মজা চলে এল হাতের সামনে।
রেল সূত্রে জানা গেছে খুব তাড়াতাড়ি রেল এই সব ট্রেনের সময়সারণি প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে। আর যেহেতু স্পেশাল ট্রেন তাই বিশেষ ভাড়াও প্রযোজ্য হবে। যাত্রীরা কোন শ্রেণিতে টিকিট কাটছেন, তার ভিত্তিতে মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় ১০-৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হবে। একটি সূত্রে জানা গেছে এই সাতদিনে ৪২ ট্রিপ ট্রেন চালাতে পারে রেল। যার অর্থ প্রতিদিন আপডাউন ৬ বার যাতায়ত করবে ট্রেন। সম্ভবত: বিভিন্ন শ্রেণী সমন্বিত ১০ কামরার ট্রেন চলবে। এরকমই একটি ভাবনা আগেই ভাবা হয়েছিল যখন রেলের পরিকল্পনা ছিল ১৫ অক্টোবর থেকে ট্রেন চালানোর।
এবার করোনা আবহে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা সকলেই ভিড় এড়িয়ে পুজো কাটাতে বলছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বাইরে যেতে চাইছেন। ফলে দিঘা গামী বিশেষ ট্রেনগুলি ভিড়ে ভরে থাকবে নিশ্চিত। অন্য দিকে এটাও ঘটনা যে এই আবার দিঘা মন্দারমণি, তাজপুর-সহ সৈকত শহরের বিপদের কারন না হয়ে দাঁড়ায়। ট্রেনে বেড়াতে যাওয়ার সুবিধা যেন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের করোনা সংক্রমনের কারন না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকেও নজর দেওয়াটা খুুুবই জরুরি। আনন্দের আতিশয্য যেন অতিমারির সংক্রমন মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়ে বিপদকে বরন করে ঘরে না নিয়ে আসে সে বিষয়টিও নজরে রাখতে হবে।