নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘ লকডাউনের ঘোমটা সরিয়ে অবশেষে পর্যটকদের মুখ দেখাতে তৈরি হয়ে গেল লাজুক দিঘা সুন্দরী। বৃহস্পতিবারই খুলে গেল দিঘায় মূল রাস্তার দুপাশের হোটেল গুলি। সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বুধবার দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মোতাবেক ২৪ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে আংশিক হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে কয়েকটি হোটেল। তবে জনবসতির কাছের হোটেলগুলি এখনই খোলা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
হোটেল মালিকদের সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, মাত্র ৩০ শতাংশ ঘর ভাড়া দিতে পারবে হোটেলগুলি। সঙ্গে কাজ করবেন মাত্র ৩০ শতাংশ কর্মী। তবে সমস্ত কর্মীকে বেতন দিতে হবে মালিকদের। মার্চ থেকে বন্ধ দিঘার হোটেলগুলি। লকডাউনে ভেঙে পড়েছে পুরো পর্যটন শিল্প। দিঘায় হোটেল খোলায় দিঘায় পর্যটন ফের শ্বাস নিতে শুরু করবে বলে আশাবাদী হোটেলমালিকরা।
দিঘার আগেই অবশ্য মন্দারমণিতে হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেই মত কয়েকটি হোটেল খোলাও হয় কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা চূড়ান্ত আপত্তি জানায় পর্যটকদের থাকার ব্যাপারে। তাঁদের দাবি, পর্যটকদের থেকে এলাকায় করোনা ছড়াতে পারে। ফলে হোটেলে পর্যটকরা থাকতে পারছেননা। এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসন কথা বার্তা চালিয়ে যাচ্ছে সমাধান সূত্র বের করার।
অন্যদিকে ১৫ জুন থেকে সুন্দরবন ফের পর্যটনকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর। তবে পর্যটক-সহ বোটচালকদের বেশ কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। সুন্দরবন খুলছে ১৫ জুন থেকে দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস বন্ধ থাকার পর খুলতে চলেছে রয়েল বেঙ্গলের রাজত্ব। তবে পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১০ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ সুন্দরবন ভ্রমণে যেতে পারবেন না। পর্যটকদের মাস্ক পরা জরুরি। রাখতে হবে স্যানিটাইজার।বোট চালকদের প্রতি জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পর্যটকদের বোটগুলিকে স্যানিটাইজ করতে হবে।
বোটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। হোটেলমালিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, হোটেলগুলির স্যানিটাইজেশনের দিকে নজর দিতে হবে।
অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের পর ডুয়ার্স খুলে দেওয়া হয়েছে যদিও ফের চলে আসছে বর্ষার মরশুম যে সময়ে জঙ্গলের কিছু অংশ বন্ধ রাখা হয়। তবুও দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে একে একে পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলতে থাকায় ফের ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে পর্যটন নির্ভর এলাকাগুলির অর্থনীতি।