Homeএখন খবরDigha: নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ভীড় উপচে পড়ল রবিবাসরীয় দিঘায়! সমুদ্র ঢাকল কালো মাথায়

Digha: নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ভীড় উপচে পড়ল রবিবাসরীয় দিঘায়! সমুদ্র ঢাকল কালো মাথায়

ভীষ্মদেব দাশঃ করোনা সন্ত্রাসে পর্যটক লাটে উঠে যাওয়া দিঘায় ঢল নামলো জনস্রোতের। পর্যটন শিল্পের শনি কাটিয়ে রবিবার চওড়া হাসির দেখা মিলল হোটেল মালিক, রেঁস্তোরা ব্যাবসায়ী, খুচরো দোকানদার থেকে হকারদের ঠোঁটে। যেন প্রাণ ফিরে পেল দিঘা,শংকরপুর, মন্দারমনি। ১লা জুলাই থেকে রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা মতো স্বাভাবিক হয়েছে বাস পরিষেবা। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় ফের দিঘা ফিরেছে তাঁর ছন্দে। আর রবিবার, সপ্তাহের ছুটির দিনে দিঘার সমুদ্র সৈকত ঢাকল কালো মাথার ভিড়ে। ভিড় বেড়েছে তাজপুর-মন্দারমণি, শঙ্করপুর পর্যটন কেন্দ্রেও। শনিবার বিকেল থেকেই দিঘা-মন্দারমণিতে পর্যটকদের আসা শুরু হয়ে গেছিল। ছোট গাড়িতে, সরকারি-বেসরকারি বাস পরিষেবা থাকায় বাসে চেপেও এসেছেন পর্যটকরা। দীর্ঘদিন পর পর্যটক সমাগমে ফের স্বাভাবিক ছন্দে সৈকতভূমি।

রবিবার কালনা থেকে কলকাতা আর মোমিনপুর থেকে মেদিনীপুর ভীড় জমিয়েছে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনিতে। নিজস্ব চারচাকা, ভাড়ার গাড়ির পাশাপাশি ছুটে এসেছে হাজার হাজার বাইক। লকডাউনের মাঝখানেই বিয়ে হয়ে যাওয়া কলকাতার বড়বাজারের মুকেশ আর মিথিলা জৈন দার্জিলিং বাদ দিয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটানোর জন্য বেছে নিয়েছেন কাছে পিঠের দিঘাকেই। মেদিনীপুরের অরবিন্দ নগরের অনিন্দ্য আর রক্তিমা বসু তাঁদের ৫বছরের বিবাহবার্ষিকীতে চলে এসেছেন দিঘায়। সঙ্গে ২বছরের ছেলে টিনটিন আর তার দাদু-ঠাকুমাও। সবারই এক লক্ষ্য, দীর্ঘ গৃহবন্দী দশা কাটিয়ে মুক্ত বাতাস খোঁজা।

রাজ্য সরকারের শিথিল করা বিধিনিষেধের খবর পেয়েই পর্যটকরা আগাম হোটেল বুকিং প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, দিঘায় এই মুহুর্তে ৭০ শতাংশ হোটেল খুলে গিয়েছে। কমবেশি সব হোটেলেই পর্যটক উঠেছেন। মন্দারমণিতেও ১০০ শতাংশ হোটেল খুলে গিয়েছে। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত তাজপুর-শঙ্করপুরও নতুন ছন্দে ফিরছে। তিনি আরও বলেন, বিধিনিষেধের বেড়াজালে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছিলেন ভ্রমণ পিপাসুরা। নিয়ম শিথিল হতেই হাওয়াবদলের জন্য উৎসুক জনতার ভিড় সৈকত নগরীতে। এই মুহূর্তে বন্ধ স্কুল, কলেজ। তাই ছেলেমেয়েদের নিয়ে সপরিবারে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন। করোনা বিধি মেনেই হোটেলে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের।

পর্যটকদের সচেতন করার কাজ করছেন পুলিশ। মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করার কাজ করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তবে সৈকতভূমিতে পর্যটকদের জনজোয়ারে কতটা বিপদ হতে পারে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পর্যটকদের আগমনে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও কতদিন স্বাভাবিক ছন্দ ধরে রাখতে পারবে দিঘা, মন্দারমণি? কারন পর্যটকদের ভিড়ে ফের করোনার চোখ রাঙানোর সম্ভাবনা থাকছেই। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সৈকতনগরী। পুলিশ অবশ্য নজর রাখছে মাস্ক আর পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর। যদিও তা কতটা সম্ভব বলা মুশকিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular