Homeএখন খবরএকদা উচ্ছেদের বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই উচ্ছেদ হল দিঘায়, উচ্ছেদ ক্ষতিপূরন ছাড়াই

একদা উচ্ছেদের বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই উচ্ছেদ হল দিঘায়, উচ্ছেদ ক্ষতিপূরন ছাড়াই

নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্ষমতায় থাকা আর না থাকার ফারাকটা দিন দিন পরিষ্কার করে দিচ্ছে শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস। যে দলের জন্ম আর বেড়ে ওঠাটাই উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সেই দলের নেতৃত্বেই এখন কলকাতা থেকে খড়গপুর, দমদম থেকে দিঘা শুধুই উচ্ছেদ কাহিনী।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আগামী ১১-১২ ডিসেম্বর দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন হওয়ার কথা। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি আর তার পরেই সামনে বড়দিন-নিউ ইয়ারকে ঘিরে উৎসবে মাতবার দিন। ধনী আর মধ্যবিত্ত পর্যটকে গমগম করবে দিঘা। তাই গরীব আর হাভাতেদের ঝুপড়ি উচ্ছেদ করে নতুন করে দিঘাকে আরও সাজিয়ে-গুছিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে  প্রশাসন। কিন্তু যাঁদের উচ্ছেদ করা হল তাঁদের কি হবে ? বিশেষ করে যাঁরা ভূমিহীন? প্রশাসন বলছে তাঁদের পাট্টা দেওয়া হবে ? দেওয়া হয়নি, হবে বলেই উচ্ছেদ !

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অথচ বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন এই মমতা ব্যানার্জী বলতেন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা যাবেনা। তাহলে ? পুনর্বাসন তো দুরের কথা, পাট্টা না দিয়েই উচ্ছেদ চলল দিঘায়!
প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়ছে,  হকার পুনর্বাসনের পরও ফের বিভিন্ন রাস্তা দখল করে দোকানপাট সাজিয়ে বসা শুরু করেছিলেন কিছু মানুষ।ঝুপড়িবাসীদেরও সরানো যাচ্ছিল না বারবার বলা সত্বেও।” আর সেই  কারণে, ঝুপড়ি, হকার উচ্ছেদে গঠন করা হয়েছিল টাস্কফোর্স।গত ২৭ নভেম্বর পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে সৈকতে অবৈধ হকারদের পাকাপাকিভাবে উচ্ছেদ করতে পেরেছিল প্রশাসন।সোমবার ঝুপড়িমুক্ত হল দিঘা বাইপাস।২৫ টি পরিবারের ৩৩ টি ঝুপড়ি ছিল দিঘা বাইপাস এলাকায়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রশাসনের দাবি এই ২৫ টি পরিবারের অধিকাংশই ব্যবসায়ী।ব্যবসা করতে এসেই সরকারি জায়গার ওপর জাঁকিয়ে বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ঘটনা হল একদিনেই তো এরা বসেননি। যখন বসেছিলেন তখন আটকানো হয়নি কেন ? কান পাতলে সেখানেও নেতাদের আশীর্বাদ আর কাটমানি নেওয়ার গল্প পাওয়া যাবে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সুজন দত্ত বলেন,

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
” দিঘা বাইপাস এলাকা পুরোপুরি ঝুপড়িমুক্ত হয়েছে।ওই এলাকায় কয়েকজন ভূমিহীন রয়েছেন।তাঁদের জমির পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বাকিদের অন্য্ জায়গায় সম্পত্তি-বাড়ি-গাড়ি সবই আছে।বিভিন্ন ব্যবসাপাতিও রয়েছে তাঁদের।জোর করে সরকারি জমি দখল নিয়ে ছিলেন তাঁরা।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অস্বীকার করার উপায় নেই যে ঝুপড়ির আড়ালে কয়েকটি পাকার বাড়ি জেসিবি দিয়ে ভাঙতে হয়েছে।তাদের মধ্যে কয়েকটি বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে এসি, ফ্রিজ। ঝুপড়িবাসীর মধ্যেই নেহেরু মার্কেটের প্রতিষ্ঠিত মাছ ব্যবসায়ী দীপক আগুয়ানের মত মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীকেও দেখা গেছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যেখানে ঝুপড়ির মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন সুখের সাম্রাজ্য।যেখানে ছিল এসি, দামি সোফা, ফ্রিজ থেকে শুরু দামি জিনিসপত্র। কিন্ত এই একই যুক্তি দেখিয়ে যখন বাম আমলে অপারেশন সান সাইন কিংবা অন্য উচ্ছেদ হচ্ছিল তখন আজকের মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলন করেছিলেন কেন? সেই আন্দোলন তাহলে শুধুই ভোটের জন্য ছিল ?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১১সালে ক্ষমতায় আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেছিলেন, পুনর্বাসন না দিয়ে কোনও উচ্ছেদই করা হবেনা তাঁর সরকারের আমলে। কিন্তু সল্টলেক থেকে খড়গপুর, দমদম থেকে দিঘা তাঁর সরকারের আমলেই সব চেয়ে বেশি উচ্ছেদ হয়েছে কোনও রকম পুনর্বাসন ছাড়াই। সোমবারের দিঘাও সেই ঘটনার স্বাক্ষী থাকল। 

RELATED ARTICLES

Most Popular