বাঁদিকে বালিয়াড়ি কেটে তৈরি হওয়া ডান দিকের মণ্ডপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ১১ ও ১২ই ডিসেম্বর দিঘায় বিশ্ববানিজ্য সম্মেলন আর তার আগেই দিঘায় চালু হল পরিবেশ বান্ধব বাস পরিষেবা। কিন্তু তারই মধ্যে দিঘার প্রকৃতিকে ধ্বংস করার আভিযোগও উঠেছে। সোমবার দিঘা থেকে পরিবেশ বান্ধব কয়েকটি বাস চালু হয়েছে । জানা গেছে মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর ইত্যাদি সৈকতে ছুটবে। ব্যাটারি চালিত এই বাস চলবে কাঁথি , এগরা , তালসারি অবধি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মূখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্ববানিজ্য সম্মেলনের আগে দিঘাকে সাজানো হয়েছে। ঝুপড়ি , বস্তি , অস্থায়ী দোকানপাট উচ্ছেদ করে ঝাঁ চকচকে দিঘার আরও একটি পাওনা এই পরিবেশ বান্ধব বাস। কিন্তু পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে এই সম্মেলনকে ঘিরে। জানা গেছে সম্মেলন উপলক্ষ্যে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া অস্থায়ী মণ্ডপটি তৈরি করতে গিয়ে নির্মমভাবে ধ্বংস করা হয়েছে দিঘার প্রান, বালিয়াড়িকে। ‘যদি তাই হয়ে থাকে তবে দিঘার সঙ্গে এটা হবে মারাত্মক ঘাতকতা। যদি তাই হয়, তবে এটা হবে দিঘার সর্বনাশের কফিনে শেষ পেরেক।’ এমনটাই জানিয়েছেন প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এক ভুবিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ”উপকূলের হৃৎপিন্ড হল তার বালিয়াড়ি। চিরচেনা দিঘার এই অপরিকল্পিত উন্নয়নের মোড়ক যত বাড়ছে তত সংস্থান হারাচ্ছে উপকুলের মৃত্তিকা বন্ধন। চাকচিক্য বেড়েছে।আমরা বেশ ডগমগ খুশিতে।আমরা উন্নয়ন বিরোধী হতে পারিনি বলেই হয়তো দিঘা আজ কংক্রিটের জঙ্গলে ঢেকে গেছে।সেই জন্যই হয়তো দিঘা আজ চিরতরে হারাতে বসেছে তার চিরযৌবন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিঘার অকাল মৃত্যু আমরা ঘটিয়ে ফেলেছি।দিঘা এখন বালিয়াড়িমুক্ত।কয়েক জায়গায় ছিল।তাও আর থাকবে না।নিউ দিঘার যাত্রানালাকে অনেকটা সাজিয়ে-গুছিয়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রথম দিকে অনেকেরই খানিকটা উন্নত চিন্তা বলেই মনে হয়েছিল।কিন্তু এখন যা অবস্থা চোখে দেখলে কাঁকিয়ে ওঠার অবস্থা ।বালিয়াড়িও আর থাকতে দেওয়া হবে না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যাত্রানালায় বালিয়াড়ি ধ্বংস করে মঞ্চ বানানো হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় আসবেন বাণিজ্য সম্মেলন করতে।সঙ্গে আসবেন শিল্পপতিরা।তাঁদের বিনোদিত করতে এমন আয়োজন আমাদের সংশ্লিস্ট প্রশাসনের।বহু কোটি খরচে কনভেনশন সেন্টার তৈরির পরও কী খুব প্রয়োজন ছিল এমন ধ্বংসাত্মক ভূমিকা নেওয়ার!”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ওই প্রকৃতিবিদ আরও জানিয়েছেন, ” বালিয়াড়ি শুধুই দিঘাকে নয়, রক্ষা করছে দিঘার পশ্চাদ্ভাগ রামনগর, কাঁথিকেও। যদি আরেকটা সুনামি হয় তবে জেনে রাখবেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে কাঁথি মহকুমাটাই।”