
নিজস্ব সংবাদদাতা: এক বিরল দৃশ্য দেখল দিঘা। পর্যটক আর স্থানীয় পুন্যার্থীদের স্নানে কার্যত ঢেকে গেল দীঘার সৈকত , সমুদ্র। বুলবুল ঝড়ের ধকল কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই মঙ্গলবার সকালে দিঘায় সমুদ্রস্নানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল প্রশাসন। আর রাস পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সমুদ্র স্নানের জন্য ভিড় জমান হাজার হাজার পূর্ণ্যার্থী। সব মিলিয়ে জমজমাট হয়ে গেল সমুদ্র স্নান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও নিষেধাজ্ঞা উঠলেও পুলিশ-নুলিয়ার কড়া নজরদারি ছিল সমুদ্র স্নানে ।এদিন রামনগর ১ ব্লকের বিডিও আশিস রায় বলেন,” দিঘা এবং সংলগ্ন সৈকতগুলোতে সমুদ্রস্নানের ওপর আর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক।মঙ্গলবার সকাল থেকেই পর্যটকদের স্নানের জন্য সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুলবুল ঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার পর্যন্ত সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছিল প্রশাসন। পাশাপাশি দিঘা ছাড়তে বলা হয়েছিল পর্যটকদের।পর্যটকরা দিঘা ছাড়তে শুরু করেছিলেন।কিন্তু রবিবার দিঘার আকাশ ছিল উজ্জ্বল।স্বাভাবিক ভাবেই পর্যটকরা সমুদ্রে নামতে থাকেন।
ঘটনাক্রমে এদিনই সমুদ্রে নেমে তলিয়ে যান উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের যুবক ইন্দ্রনীল মজুমদার।মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার।এরপরই সমুদ্র অশান্ত বুঝেই রবিবার সন্ধেয় ফের সমুদ্রস্নানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন।মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রস্নান বন্ধ থাকবে বলে প্রচার করে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পর্যটকরা যাতে বেপরোয়া না হতে পারেন সে জন্য বাড়তি নজরদারিরও ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন।পরিস্থিতি বুঝেই পরিবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ।নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরই মাইক প্রচারে স্নানে নেমে পর্যটকদের বেপরোয়া হতে বারণ করা হয়েছে।কোমর জলের গভীরে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল।