নিজস্ব সংবাদদাতা: বছরের শেষের মতই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের স্বাক্ষ্য রইল দিল্লি। আগুনের জতুগৃহে আটকে পড়ে প্রান হারিয়েছেন এক দমকল কর্মী, ১৪জন দমকল কর্মী সহ ১৮জন আগুনের আঁচে আহত হয়েছেন যার মধ্যে ২জনের অবস্থা খুবই খারাপ । ২০১৯-য়ে একের পর এক আগুন লেগেছে দিল্লিতে যার মধ্যে ভয়াবহ ঘটনা ছিল ডিসেম্বরের গোড়ায়। একটি ব্যাগের কারখানায় আগুন কেড়ে নিয়েছিল ৪৩ টি প্রাণ। আনাজ মান্ডির সেই অভিশপ্ত আগুন দিল্লির নতুন বছরকেও ধাওয়া করল ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বছরের দ্বিতীয় দিন, বৃহস্পতিবার দিল্লির পিরাগড়ি এলাকার একটি ব্যাটারি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে এবং প্রায় ১০ঘন্টা দমকলের লড়াই স্বত্ত্বেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসেনি বলে জানা গেছে। আগুন থেকে বিস্ফোরণের জেরে ধসে পড়ল বিল্ডিংয়ের এর একটি অংশ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা। উদ্ধারকাজে নেমেছে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন। পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ায় বাড়তে থাকে ইঞ্জিনের সংখ্যা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ পশ্চিম দিল্লির পিরাগড়ি এলাকার একটি ব্যাটারি কারখানায় আচমকাই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগে। প্রাথমিকভাবে দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকায় ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এরপর সকাল ৯টা নাগাদ প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে কারখানা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বোঝা যায়, আগুনের শিখা রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে। তার পরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কারখানার একটা অংশ। সেসময় কারখানার ৪কর্মী ও ১৪ জন দমকলকর্মী অগ্নিকুণ্ডতে আটকে পড়েন। তাঁদের একে একে উদ্ধার করা হলেও তিনজন দমকল কর্মী খুবই আহত হন। এঁদের মধ্যে শেষতম কর্মী হাসপাতালে প্রান হারান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ৫০ টি ইঞ্জিন কাজ করতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও।প্রশাসন সূত্রে খবর, অত্যন্ত সাবধানতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। ধোঁয়া এবং রাসায়নিকের গন্ধে এলাকাটি দূষিত হয়ে পড়ায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়ে যায় অনেকেরই।