নিজস্ব সংবাদদাতা: ডেবরা জুড়ে অব্যাহত করোনা আক্রমন। পুলিশ, চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী ও সাধারন মানুষ তো আক্রান্ত হচ্ছেনই এবার আক্রান্ত হলেন এক টোল প্লাজার কর্মী। মঙ্গলবার ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের আক্রান্তের ঘটনায় বিপাকে টোল সংগ্রাহক কর্তৃপক্ষ কারন নিয়ম অনুসারে ওই প্লাজার সমস্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারীরই কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ার কথা।
কী করে ওই কর্মী আক্রান্ত হয়ে পড়লেন তা নিয়ে রীতিমত ধন্দে পড়ে গিয়েছেন প্লাজা কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য সমস্ত রকম নিয়ম কানুন মেনেই কাজ করে থাকেন তাঁরা তারপরেও এই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত তারা। টোলপ্লাজার এক কর্মী জানালেন, “আমরা মাস্ক তো ব্যবহার করছি বরং অনেক সময় দুটো মাস্ক ব্যবহার করে থাকি। আমরা গ্লোভস ছাড়া সরাসরি হাতে টাকা আদায় করিনা, মাস্ক না পরলে ট্যানেলে চালকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এত সতর্কতা ছাড়াও কী করে ওই কর্মী আক্রান্ত হলেন বুঝতে পারছিনা।”
ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল সূত্রে জানা গেছে, দু’তিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন ওই কর্মী। ২তারিখ নমুনা সংগ্রহের পরই ওই যুবককে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে নেওয়া হয় কিন্তু তার আগে পর্যন্ত যেহেতু ওই কর্মী কাজ করেছেন তাই অন্যদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। টোল প্লাজা সূত্রে জানা গেছে মোট ১৫জন কর্মী রয়েছেন টোল আদায়ের সঙ্গে যারা যুক্ত। এরমধ্যে ১২জন একটি ঘরে এবং ৩জন ওই ঘরেরই লাগোয়া অন্য একটি ঘরে থাকেন। প্রায় একই সাথে সবার ওঠা বসা। ফলে সংক্রমনের ব্যাপ্তি অনেকটাই ঘটতে পারে। তাই সবারই কোয়ারেন্টাইনে চলে আসা উচিৎ। সেই অবস্থায় টোল কী ভাবে আদায় করা হবে সেটাই এখন ভাবনার।
টোল প্লাজার কর্মীরা যাই বলুন না কেন এই সংক্রমনের পশ্চাতে অন্তত একটি সম্ভবনা ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’য়ের নজরে এসেছে। জানা গেছে আনলক থ্রি পর্বে এক কর্মচারী বিহার ও অন্য আরেকজন ওড়িশা থেকে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন। চারদিন আগেই তারা ডেবরায় ফিরেছেন কিন্তু কোয়ারেন্টাইনে না থেকে সরাসরি কাজে যোগ দিয়েছেন। এঁদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ল কিনা সেটাই এখন দেখার। ডেবরা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে প্লাজার সমস্ত কর্মচারীদেরই করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকল্প পথ খুঁজছেন কর্তৃপক্ষ।