নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির প্রবেশ মুখে প্রবল শীতে গত ২৬শে নভেম্বর থেকে রাস্তায় বসে লক্ষাধিক কিষানী সহ ১২লক্ষ কৃষক। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৩জন। দাবি নয়া কৃষি আইন সহ তিনটি আইন বাতিল করতে হবে। ইতিমধ্যে দিল্লির পথে রওনা দিয়েছেন আরও ৫০ হাজার কৃষক। অসুস্থ হয়ে পড়া কৃষকদের চিকিৎসার প্রয়োজন নে দিল্লি থেকে ছুটে আসছেন চিকিৎসক, নার্স। দিল্লির আশে পাশের কৃষকরা নিয়ে আসছেন শস্য, সবজি, দুধ। সেই কৃষকদের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন জায়গার মতই পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় পথে নামল কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা বা AIKS।
এদিন ডেবরা টোল প্লাজায় টোলমুক্ত যান পরিষেবা দিয়ে দিল্লির কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা দেখালেন AIKS সভ্য কৃষকরা। রবিবার ৬ নম্বর হাওড়া-মুম্বাই জাতীয় সড়কের দুটি লেনই বোম্বে রোডের ডেবরাতে টোল প্লাজা খুলে দিয়ে একের পর এক পন্যবাহি, যাত্রীবাহি সহ সমস্ত ধরনের যানবাহন কোনও টোল ছাড়াই পের হতে সাহায্য করেন কৃষক সভার কর্মী ও নেতৃত্বরা। AiKS নেতৃত্ব এদিন দাবি করেন, “দিল্লিতে কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে লোক দেখানো আলোচনার নামে আড়ালে কৃষকদের দেশদ্রোহী এবং বিভেদকামী শক্তির সহায়ক বলে নিকৃষ্ট মানের প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খোদ অমিত শাহ এই ধরনের কথাবার্তা বলেছেন। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনরত কৃষকরা শনিবার দেশের ১৬৫টি টোলপ্লাজা মুক্ত করেছিলেন। রবিবার তারই সমর্থনে ডেবরা টোলপ্লাজা টোল মুক্ত করা হল।”
টোল প্লাজায় AIKS য়ের এই আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সাথে প্লাজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তুমুল বাকবিতন্ডা চলে। সেই বিক্ষোভ চলাকালিন আন্দোলনে সামিল বহু ভিন রাজ্যের চালক, খালাসিরা। যার মধ্যে হরিয়ানা, পাঞ্জাবের চালক ও খালাসিরাও ছিলেন। তাঁরা জানান, ‘দিল্লিতে আমাদের ভাই বোনেরাই সামিল হয়েছেন। তাঁদের সমর্থনে এই বাংলাতে আমরাও বিক্ষোভে সামিল হতে পেরে খুশি। বাংলার লাল ঝান্ডাকে আমাদের লাল সালাম।
হিন্দিতে তাঁরা শ্লোগান দেন, ‘ইয়ে ইনকিলাবি হ্যায়, জয় কিষান জয় ভারত।’ শ্লোগান তুলে। সকাল আটটা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ডেবরার কৃষক নেতৃত্ব প্রানকৃষ্ণ মন্ডল, রবীন দত্ত, ফারহাদ হোসেন প্রমুখরা। ছয় লেনের ১০ টি টোল প্লাজার গেটে বিক্ষোভ সহ সেই গেট হাট করে খুলে দিয়ে যান বাহনের গতি অবাধ করে দেওয়া হয়।