নিজস্ব সংবাদদাতা: অক্টোবর মাসে ভয়াবহ করোনা সংক্রমনের মুখে পড়ল ডেবরা থানা এলাকা। গত ৩ রা অক্টোবর থেকে ৫ই অক্টোবর অবধি শুধুমাত্র আরটি/পিসিআর রিপোর্ট মোতাবেক ডেবরা থানা এলাকায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যা সমগ্র করোনা কালেই নজির বিহীন। এছাড়াও এই মুহূর্তে ডেবরার বিভিন্ন এলাকায় করোনার আ্যন্টিজেন পরীক্ষা চলছে যার ফলাফল আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। নিশ্চিত ভাবে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। এই মুহূর্তে বড়সড় সংক্রমনের মুখে রয়েছে জালিমান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিচক এলাকা।
১১ই অক্টোবরের ওই থানা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২জন। এরমধ্যে ৮ জনই বালিচক এলাকার। এই আটজনের ৫জনই একটি পরিবারের। যার মধ্যে ১৫ ও ১৭ বছরের দুই কিশোর, ৫১ এবং ৫৮ বছরের ২ প্রৌঢ় ও ৪৪ বছরের এক গৃহবধূ রয়েছেন। বালিচক এলাকার অপর তিন আক্রান্তের মধ্যে একজন ৮৩ বছরের বৃদ্ধা ও ৪০ ও ৪৫ বছরের দুই ব্যক্তি রয়েছেন।
দ্য খড়গপুর পোষ্টের পক্ষ থেকে এ মাসের গোড়াতেই সতর্ক করা হয়েছিল যে ডেবরা এলাকায় করোনা সংক্রমনের এপিসেন্টার বালিচক ও ডুঁয়া এলাকায় কেন্দ্রীভূত হয়ে রয়েছে। ১১ তারিখের আরটি/পিসিআর রিপোর্টও তাই বলছে। এদিনের আক্রান্ত বাকি ৪জনের তিনজনই ডুঁয়া ১০/২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোলোই গ্রামের। একই পরিবারের ৬৪ বছরের বৃদ্ধা ও ৩৪ বছরের যুবক আক্রান্ত হয়েছেন ওখানে। পাশাপাশি একটি পরিবারের ৫বছরের শিশুকন্যার দেহেও করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। অন্যদিকে লোয়াদায় আক্রান্ত হয়েছেন এক ৩০বছরের যুবক।
গত সাত দিনের এই পর্যালোচনায় গোড়ার দিনটি হল ৫ই অক্টোবর যেদিন আরটি/পিসিআর রিপোর্ট মোতাবেক এই থানা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১১জন। সেদিনও বালিচক থেকে ৬ জন এবং ডুঁয়া এলাকা থেকে ২জনের পজিটিভ পাওয়া গেছিল। তবে এই সাত দিনের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ৮ই অক্টোবর। ওই দিন এক সাথে প্রায় তিন ডজন মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর বালিচক ডুঁয়া ছাড়াও সেদিন ডেবরা থানার সর্বত্রই করোনার অস্থিত্ব ধরা পড়েছিল। ডেবরা পাওয়ার হাউস, পানিগেড়িয়া, নানকা, বিশ্রিগেড়িয়া, মাড়োতলা।
এছাড়াও রয়েছে গোবিন্দপুর, খানামোহন,ত্রিলোচনপুর, টেবাগেড়িয়া, ফতেবাড়, নরহরিপুর, চকসুজাল, আলিশাগড়, বাঁশদা, ভবানীপুর, তুরিয়া, রাধামোহনপুর, রুইনাগেড়িয়া ইত্যাদি সর্বত্রই করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে বিপদ সীমার ওপরে রয়েছে সংক্রমন। উৎসবের আবহে আনন্দ আতিশয্যে এই করোনাকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা চলবেনা তা নাহলে উৎসব শেষে আরও ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে করোনা সংক্রমন।