নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের আরেক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হল জেলায়। রবিবার শালবনী করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হল দাসপুর গ্রামীন হাসপাতালের চক্ষু পরীক্ষক (Opthalmic Assistant)সুনীল অধিকারীর। বছর ৪৭য়ের সুনীল বাবুর বাড়ি দাসপুর থানারই ইশবপুর গ্রামে। ১২ই সেপ্টেম্বর তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিল। প্রথমে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় শালবনী করোনা হাসপাতালে কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে কো-মর্বিডিটি, অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক অন্য শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। সুনীলবাবু ছাড়াও দাসপুর গ্রামীন হাসপাতালে আক্রান্ত একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী। সুনীল বাবু যেদিন পজিটিভ বলে চিহ্নিত হন সেই ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও একজন এক্সরে টেকনিশিয়ান সহ মোট ৮ জন হাসপাতাল কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন যাঁরা হোম আইসোলেশন অথবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে শুধু দাসপুরই নয় আরও একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। ৩৯ বছরের ওই চিকিৎসক রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। জুলাই মাসে বড়সড় সংক্রমন ছড়ায় ডেবরা হাসপাতালে। তিন চিকিৎসক সহ একাধিক নার্স ও অন্যান্য কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর ফের আরও এক চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল। হাসপাতাল ছাড়াও ডেবরার বেশ কয়েকটি এলাকায় আক্রান্ত ১৫ জন। ডুঁয়া, হরিহরপুর তো ছিলই তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুলতান নগর, নরহরিপুর, বাঁশদা, মুরাস্থি, বাকলসা, ফতেবাড়।
আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে IIT-KHRAGPUR ক্যাম্পাসে। রবিবার ক্যাম্পসে যেমন একজন যুবকের পজিটিভ ফল এসেছে তেমনি ওইদিনই ১০জনের অমীমাংসিত ফলাফল এসেছে। যদিও এদের মধ্যে ক’জন পজিটিভ বা নেগেটিভ তা এখনও অবধি জানা যায়নি। অন্যদিকে রিপোর্ট মোতাবেক ইন্দা, খরিদা, মালঞ্চ, নিমপুরা, ভবানীপুর, ঝাপেটাপুর সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
মেদিনীপুর শহরের ক্ষেত্রে শনিবার আমরা দেখিয়েছিলাম শরৎপল্লীতে বেশি সংক্রমিতের সন্ধান মিলেছিল রবিবারও সেই শরৎপল্লীতেই ফের একটি পরিবারে তিনজন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। পাশাপাশি উঠে এসেছে মানিকপুর ও কোত বাজারের নাম। মানিকপুরে একই পরিবারের ৩জন ও কোতবাজারে ২জন আক্রান্ত একই পরিবারে। উল্লেখ্য এ সবই আরটি/পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী। কারন আ্যন্টিজেন রিপোর্ট দ্য খড়গপুর পোষ্টের হাতে আসেনি। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সব জায়গাতেই কিছুটা হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে।