Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গDarjeeling Red Panda: করোনা আবহে খুশির খবর শৈল শহরের পর্যটকদের জন্য ,ফের...

Darjeeling Red Panda: করোনা আবহে খুশির খবর শৈল শহরের পর্যটকদের জন্য ,ফের দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় জন্ম হল দুই রেড পাণ্ডার

দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়

নিউজ ডেস্ক: করোনা আবহে পাহাড়ে পর্যটকদের জন্য কড়াকড়ি।মন খারাপের মাঝেও খুশির খবর।দার্জিলিং চিড়িয়াখানার তোপকেদারা প্রজনন এবং সংরক্ষণ কেন্দ্রে ফের দুই রেড পান্ডার (Ailurus fulgens) জন্ম হল বৃহস্পতিবার। এনিয়ে সাতটি রেডপান্ডায় জন্ম হল চলতি মরশুমে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেডপান্ডা কিচি ওই দুই শাবকের জন্ম দিয়েছে। ভালো রয়েছে মা ও শাবক উভয়েই। ওই দুই শাবকের বাবা সাত্ত্বিক।

পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের ডিরেক্টর ধরমদেও রাই জানান, তোপকেদারা প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে আরও দুই শাবকের জন্ম গর্বের বিষয়।

এর আগে আট জুলাই শৈলশহরের কোলে জন্ম নেয় আরও এক রেড পান্ডা। ২০২১-এ দার্জিলিঙের তোপকেদাড়া প্রজনন কেন্দ্রে এই নিয়ে পঞ্চম রেডপান্ডার জন্ম হলো। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, মা ও শাবক রেডপান্ডা দুইজনই সুস্থ রয়েছে। পর্যটক শূন্য চিড়িয়াখানায় ভালো রয়েছে ওরা। চিড়িয়াখানার চিকিৎসকরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখছেন রেডপান্ডা শাবককে। সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে মিশমি টাকিন, স্নো লেপার্ড এবং হরিণ শাবক। শৈলশহরে রেডপাণ্ডার বংশবৃদ্ধিতে খুশির আবহ বন দপ্তরে।

উল্লেখ্য লাল পান্ডা , যা ক্ষুদ্র পান্ডা এবং লাল বিড়াল রূপী ভাল্লুক নামেও পরিচিত হল একটি ছোট প্রাণী যাদের প্রধানত দেখা মেলে হিমালয় অঞ্চলে এবং দক্ষিণ চিন অঞ্চলে। এই প্রজাতিটি আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের বিচারে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে মনে করা হয়। এর কারণ হল এদের সংখ্যা ১০,০০০ এরও অনেক কম বলে ধরা হয়।

এদের সংখ্যা কমে আসার প্রধান কারণ গুলো হল বাসস্থানের ক্ষতি হয়ে এদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, চোরাশিকারীর উৎপাত, প্রজননের বিষন্নতা ইত্যাদি। ইদানিং বিভিন্ন জায়গায় আলাদা করে সংরক্ষনের আওতায় রেখে সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রাণী বিজ্ঞানীরা। তাই দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানার এই খবর শুধু পর্যটক নয়, পরিবেশবিদদের জন্যও আনন্দের। প্রচ্ছদ-প্রতীকি

RELATED ARTICLES

Most Popular