নিজস্ব সংবাদদাতা: এক প্রৌঢ়কে থানার মধ্যে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল সিঁথি থানার বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনায় ব্যাপক গন বিক্ষোভের মুখে দিনভর নাটকের পর তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ। আর তারপরই অভিযুক্ত দুই সাব ইন্সপেক্টর ও একজন সার্জেনকে ক্লোজ করা হল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় চোরাই মাল বিক্রির অভিযোগে রাজকুমার সাউ (৫৪) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, চিৎপুর থানার পাইকপাড়ার বাসিন্দা রাজকুমার চোরাই লোহা-লক্করের কারবার করতেন। একটি অভিযোগের সূত্রে তাঁকে জেরার জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল। চুরিতে যুক্ত সন্দেহে এক অন্তঃসত্ত্বাকেও থানায় ডাকা হয়। জেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। পরে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। তাঁকে থানার লকআপে কোনও রকম মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেছেন সিঁথি থানার আধিকারিক।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও জেরার সময়ে পুলিশের লোকাপে পিটিয়েই ওই প্রৌঢ়কে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে প্রৌঢ়ার পরিবারের দাবি। পরিবারের বক্তব্য, বাড়ি থেকে সুস্থ অবস্থাতেই বেরিয়েছিলেন মানুষটি। থানাতেও ঢুকেছিলেন সুস্থ শরীরে। কিন্তু মৃত অবস্থায় তাঁকে বের করা হয়েছে।
এদিকে এখবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় থানা-তল্লাটে। উত্তেজিত জনতা থানা ভাঙচুর চালায় বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশকর্মীরা ভিতরে আটকে রেখে শতাধিক মানুষ থানা ঘিরে থাকে থানার গেটে তালা দিয়েবিক্ষোভকারীরা তালা ভাঙার চেষ্টা করে এমনও অভিযোগ আসে। ইতিমধ্যেই আসরে নামে বিজেপি। দাবি করে, রাজকুমার তাদের সমর্থক । সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই প্রতিহিংসার জেরেই মিথ্যে মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যুগ্মকমিশনার (অপরাধ দমন) শুভঙ্কর সিনহা সরকার অবশ্য বলেন, ‘চুরির তদন্তে পুলিশ এক জনকে থানায় ডেকেছিল। তিনি সন্ধ্যায় অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে কোর্টে মামলা যেতেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। আগামী ২৫তারিখ এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। আর তারপরই ওই তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।