ভীষ্মদেব দাশ,পটাশপুরঃ প্রতিনিয়ত কুমিরছানা উদ্ধারকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে খেজুরিতে। খেজুরির পর শনিবার পটাশপুরে মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ল কুমির ছানা।
পটাশপুর-১ ব্লকের গোকুলপুর পঞ্চায়েতের তাপিন্দা গ্রামে বাগুই নদীতে কুমিরছানা উদ্ধার হয়েছে। মৎস্যজীবী অরবিন্দ ঘোড়াইয়ের জালে শুক্রবার দুপুর নাগাদ কুমির ছানাটি ধরা পড়েছে। প্রসঙ্গত খেজুরিতে এক মাসের মধ্যে পরপর দুটি কুমির ছানা ধরা পড়েছিল মৎস্যজীবীদের জালে। গত ১২ই সেপ্টেম্বর খেজুরি-২ ব্লকের নিজকসবাতে মৎস্য খটিতে জালে উঠেছিল কুমির ছানা। মৎস্যজীবীদের থেকে কুমির ছানাটিকে উদ্ধার করেছিল বনদপ্তর।
বনদপ্তর সুত্রে জানাগিয়েছে কুমিরছানাটিকে সংরক্ষনে পাঠানো হয়েছে। আতঙ্ক কাটিয়ে মৎস্যজীবীরা আপনমনে পুণরায় মৎস্য আহরনে নেমেছে সমুদ্রে। তারপরই বৃহস্পতিবার পাঁচুড়িয়াতে শ্যামল মন্ডল, বাসুদেব প্রধান, অজয় প্রামানিক, নিতাই প্রামানিকদের জালে পাঁচুড়িয়া সমুদ্র তীরবর্তী প্রধান খটি এলাকায় উঠেছি কুমির ছানা। যারফলে ভীত মৎস্যজীবীরা। ১৫কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে ম্যানগ্রোভ অরন্য রুপায়ন হয়েছে খেজুরিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিরিবিলি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল কুমিরের ডিম পাড়ার আদর্শ স্থান। পরপর ২কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কুমির ছানা উদ্ধার হওয়ায় চিন্তিত বনদপ্তরের আধিকারিকরা। উদ্ধার হওয়া কুমির ছানার বয়স আনুমানিক ২মাস। একটি কুমির ৮৫-১০০টি ডিম পাড়তে পারে। ফলে আরও কুমির ছানা রয়েছে। মা কুমিরের সন্ধানেও নজরদারি চালাচ্ছেন তাঁরা। হলদি, কেলেঘাই নদী পেরিয়ে কোনওভাবে বাগুই নদীতে ঢুকে পড়েছে কুমির ছানাটি। খেজুরিতে উদ্ধার হওয়া ২টি কুমিরছানার থেকে আকার ও বয়সে বড় পটাশপুরে উদ্ধার হওয়া কুমিরটি। সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল প্রজাতির কুমিরছানা। উদ্ধার হওয়া কুমিরটির বয়স প্রায় ৩মাস। কুমির ছানাটি স্থানীয় পরিবেশবিদ সোমনাথ অধিকারীর বাড়িতে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহকারী বনাধিকারিক বলরাম পাঁজা।