দুই মৃত্যু , হতবাক গ্রামবাসী |
নিজস্ব সংবাদদাতা: পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় এক গৃহবধূর হাত পা বেঁধে জলাশয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তরুনের বিরুদ্ধে যদিও অভিযুক্ত তরুনও ঘটনার পরেই আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ঘটনায় দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাতারের খেড়ুর গ্রামের পালপাড়ায় থাকেন জয়ন্ত সিংহ (২৪)। পাশের ছাদনী পশ্চিমপাড়া গ্রামের পম্পা রায়ের (৩৭) সঙ্গে বছর দুয়েক আগে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মাস ছয়েক আগে তাঁরা পালিয়ে গিয়েছিলেন, পরে ফিরেও আসেন। পম্পার ছেলে-মেয়েদের কথা ভেবে তখন কেউই আপত্তি করেননি পম্পার ফিরে আসা নিয়ে। তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে, ছেলের বয়স বছর আঠেরো। পম্পার স্বামী তপন রায় চাষের কাজ করেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্প্রতি ছেলে-মেয়েরা বড় হয়েছে, তাই জয়ন্তর সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে চাইছিলেন পম্পা কিন্তু তাতে রাজি হচ্ছিলেন না জয়ন্ত।মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় তাল-পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন এলাকার মানুষজন। হইচই শুরু হয়ে যায়। মৃতদেহ তুলে দেখা যায় দেহটি পম্পার। অপরদিকে খেরুর গ্রামে মঙ্গলবার সকালে জয়ন্তর মা দেখতে পান তাঁর ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। তপন রায়ের অনুমান, তাঁর স্ত্রীকে খুন করে হাত-পা বেঁধে জলে ফেলে দেন জয়ন্ত। ভাতার থানার পুলিশ দু’টি মৃতদেহই উদ্ধার করে নিয়ে গেছে ময়নাতদন্তের জন্য।