নিউজ ডেস্ক: লাইন দিয়ে টিকা নিতে অসুবিধা? অত সময় নেই। তাছাড়া যদি কারও সামর্থ্য থাকে বিনামূল্যে টিকা নেবেন কেন? বরং নিজে টিকা কিনে সরকারের পাশে দাঁড়াতে পারেন। এবার ২৫ শতাংশ টিকাকরণের অনুমতি পেয়েছে দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলি। করোনার টিকাকরণের দায়িত্ব ফের নিজের হাতে তুলে নিয়ে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি হাসপাতাল থেকেই অধিকাংশ টিকাকরণ হবে। তবে টিকাকরণের জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি কত টাকা নিতে পারবে, তা বেঁধে দিল কেন্দ্র।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজ মিলবে ৭৮০ টাকায়। কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজের দাম হবে ১ হাজার ৪১০ টাকা। এবং স্পুটনিক ভি-র দাম পড়বে ১ হাজার ১৪৫ টাকা। এই দামের মধ্যে সার্ভিস চার্জও যুক্ত করা রয়েছে। সার্ভিস চার্জ বাবদ সর্বাধিক ১৫০ টাকা নিতে পারে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এ দিকে রাজ্য সরকারকে কড়া নড়র রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য ২১ জুন থেকে দেশজুড়ে নয়া টিকা নীতি কার্যকর হবে।
এদিকে ২৮ দিন পরও করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ ক্ষেত্রে এই ছাড় দিল কেন্দ্র। সকলের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। এদিকে আগস্ট মাসের মধ্যে দেশে আরও ৪৪ কোটি টিকা আসবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কাদের ক্ষেত্রে দু’টি ডোজের মধ্যেকার ব্যবধান কমানো হল? ক্রীড়াবিদ, বিদেশে কর্মরত কিংবা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই জি সেভেন বৈঠকে ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বিরোধিতা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তা সত্ত্বেও উদ্বেগ কাটছে না বহু ভারতীয়র। বিদেশে যেতে গিয়ে যদি হেনস্তা হতে হয়। তাই এবার বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্র, জীবিকার প্রয়োজনে যাওয়া মানুষ বা টোকিও অলিম্পিকে যাওয়া ক্রীড়াবিদদের পাসপোর্টের সঙ্গে টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র বা কোউইন ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ব্যক্তিরা প্রথম ডোজের ২৮ দিন পরেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন।
টিকাকরণ সংক্রান্ত নয়া একগুচ্ছ নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কাজের জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যাঁদের আন্তর্জাতিক উড়ান ধরতে হবে, তাঁরা সকলেই এই সুবিধা পাবেন।