Homeএখন খবরজানুয়ারি নয় বরং নভেম্বরেই দেশে এসেছিল প্রথম করোনা, দাবি বিজ্ঞানীদের

জানুয়ারি নয় বরং নভেম্বরেই দেশে এসেছিল প্রথম করোনা, দাবি বিজ্ঞানীদের

ওয়েব ডেস্ক : গোটা দেশে দীর্ঘ দিন লকডাউন চলার পর আনলক ১ এর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এরই মধ্যে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত দেশবাসী। বিজ্ঞানীদের দাবি,চলতি বছর জানুয়ারিতে নয়, বরং ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে গত বছর নভেম্বরেই। গবেষণায় জানা গিয়েছে, গত নভেম্বরেই এদেশে প্রথম কেউ করনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে সেই সময় বিষয়টি ধরাই পড়েনি।

কেন্দ্র সরকারের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর ৩০শে জানুয়ারী চিন ফেরত এক ছাত্রীর শরীরে প্রথম করনার ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার আগে দেশে পরীক্ষা শুরুই হয়নি। এর জেরেই বিষয়টি সামনে আসেনি বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। তারপরেও ফেব্রুয়ারিতে সপরিবারে ভারতেভ্রমণে এসেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় ইউরোপের অন্যান্য দেশ রীতিমতো করোনায় জর্জরিত। সেই সময়ও মানা হয়নি কোনোপ্রকার স্বাস্থ্যবিধি।

সম্প্রতি হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি)-এর গবেষকরা কয়েকটি ভাইরাল স্ট্রেন বিশ্লেষণ করেন। তাদের অনুমান, ২০১৯ এর নভেম্বরের শেষ দিকে তেলেঙ্গানাতে প্রথম কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেসময় পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে সেসময় তা ধরা পড়েনি। এরপর ধীরে ধীরে সেখান থেকেই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যন্য জায়গায়।

দেশ জুড়ে এখন চলছে লকডাউন ৫.০। সরকারী নির্দেশিকা অনুযায়ী এপর্যায়ে শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোনেই মানা হচ্ছে লকডাউন। এছাড়া দেশের অন্যান্য অংশ ধীরে ধীরে ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনের পরও কমেনি করোনা আবহ, বরং দিনে দিনে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। বর্তমানে ভারতে ২ লক্ষ পার করেছে সংক্রমন, মৃত্যু ৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। এই পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ২ লক্ষ ৭ হাজার ৬১৫ জন। মৃত ৫ হাজার ৮১৫। সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৪০০ জন। গোটা বিশ্বের সংখ্যাটা আরও মারাত্বক। ইতিমধ্যেই বিশ্বে সংক্রমণের সংখ্যা ৬৫ লক্ষ ৬৮ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৫৭ জনের।

এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীদের এমন চাঞ্চল্যকর দাবিতে স্বাভাবিকভাবে দেশবাসীর মনে নতুন আতঙ্কের জন্ম হয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে যদি বিজ্ঞানীদের দাবি সত্যি হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় কেন্দ্রের দায় থেকেই যাচ্ছে৷ কারণ মূলতঃ গত বছরের শেষের দিকেই চিনে এই সংক্রমণ ছড়ানোর খবর মিলেছিল। আমাদের দেশের বহু নাগরিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করেন সেই সাথে বহু বিদেশিদের যাতায়াত লেগেই আছে। সেক্ষেত্রে অনেক আগেই দেশের বিমানবন্দর গুলিতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। ফলে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে একটা বিরাট গাফিলতি ছিল তা বিজ্ঞানীদের গবেষণাতেই প্রমাণিত।

RELATED ARTICLES

Most Popular