শশাঙ্ক প্রধান: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এবার টালমাটাল গ্রামও। প্রথম ঢেউয়ের চাইতে দ্বিতীয় ঢেউ কাবু করেছে গ্রামকেও। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, সবং, পিংলা, নারায়নগড়। সংক্রমন যখন শহরে কিছুটা স্তিমিত করোনা তখন গ্রামীন জীবনে দাপট বাড়াচ্ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভূঁইয়ার উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর দশগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি ২০শয্যা কোভিড সেফহোম চালু করে দিল। শহর কিংবা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরে গিয়ে নিতান্তই গ্রামীন এলাকায় এই ধরনের সেফ হোম সরকারি উদ্যোগে এই প্রথম বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
রবিবার এই সেফহোমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, ” এই এলাকায় কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে তাকে ডেবরা সেফহোমে যেতে হত। ঘটনা হচ্ছে বাড়তি সংক্রমনের মুখে ডেবরাতেও অনেকসময় শয্যা অসংকুলান হয়ে পড়ে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সবং এবং তার পার্শ্ববর্তী জায়গার আক্রান্তরা এই হোমের সুযোগ নিতে পারবেন। পিংলা, নারায়নগড় এমনকি লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের মানুষ এই সুবিধা নিতে পারবেন। আমরা ২জন মেডিক্যাল অফিসার ছাড়াও কয়েকজন নার্স নিয়োগ করছি।”
মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, “আমি কথা দিয়েছিলাম যে করোনা মোকাবিলায় সবংবাসীর জন্য একটি আলাদা সেফ হোম করব। সেই কথা রাখতে পেরে আজ ভালো লাগছে। আমার জন্মভূমি এই সবং আর সেই দায়বদ্ধতা থেকেই সবংবাসীর পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। এখানে এই কুড়ি শয্যার সেফহোমের কুড়িটিতেই অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। সমস্ত রকম ওষুধ ও পথ্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই প্রদান করা হবে।” সবংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা মানস জায়া শ্রীমতি গিতা রানী ভূঁইয়া হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য একটি বিনোদনমূলক ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবে সাউন্ডসিস্টেম প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য ২০১১ সালে কয়েকমাস মন্ত্রীত্বের মেয়াদেই মানস ভূঁইয়া কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্পের আওতায় কয়েকশ কোটি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আনিয়েছিলেন যার ফলে বিগত একদশক বন্যা দেখেনি সবং ও তার আশেপাশের থানার বাসিন্দারা। তাঁর আরও একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ ডেবরা থেকে সবং অবধি চার লেনের রাস্তা সম্প্রসারণে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন দপ্তরের অর্থবরাদ্দ যা বদলে দিয়েছে এই এলাকার গতি। এরপরেই করোনাকালে এই উদ্যোগ নিশ্চিতভাবেই এই এলাকাবাসীকে স্বস্তি এনেদিল।
উল্লেখ্য শনিবারই সবং থানা এলাকারই লুটুনিয়া, সালাগেড়িয়া, রাখিলা, ঝাপারাড়া তিলন্তপাড়া, হরিরহাট ২, রামভদ্রপুর, তেমাথানি, শ্রীরামপুর এবং পার্শ্ববর্তী পিংলার কালিকাডিহি, পদিমা, ডাঙরা ৩, নয়া. মিরপুর, মাকড়দা, উজান এলাকায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।