নিজস্ব সংবাদদাতা: টানা কয়েকদিন দেড়শ’র নিচে থাকার পর বুধবার রেকর্ড করলো পশ্চিম মেদিনীপুর। জেলায় করোনার দৈনিক সংক্রমন নেমে এল ১০০-র নীচে। বুধবার, ১৬ই জুন জেলায় নতুন আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৯৩ জন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় ৪৯, আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় ৩৬ ও ট্রুনাট পরীক্ষায় ৯জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। খড়গপুর ও মেদিনীপুর দুই শহরেই এদিন নতুন আবিষ্কৃত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট কম। খড়গপুরে এদিন ১৩জন এবং মেদিনীপুর শহরে ৯জনের শরীরে করোনা জীবাণু পাওয়া গেছে। গত ২দিন অর্থাৎ ১৫ এবং ১৬ই জুনের হিসাব ধরলে খড়গপুর শহরে নতুন করে ২৭জন এবং মেদিনীপুর
শহরে ২০জন নতুন করে আক্রান্ত।
তবে করোনার এই নিম্নগামী চরিত্রের মধ্যে খড়গপুর মহকুমার তিন থানা এলাকায় হঠাৎই মাথা চাড়া দিতে দেখা যাচ্ছে। এই তিন থানা হল বেলদা, পিংলা এবং সবং। বেলদায় অবশ্য কয়েকটি পারিবারিক সংক্রমন সেখানকার আক্রান্তের সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৬ই জুন বেলদায় ১৪আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে এরমধ্যে ৯ জনই ২টি পরিবারের। ১৫এবং ১৬ই জুন মিলিয়ে বেলদায় ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে পিংলায় ওই দু’দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭জন। সবংয়ে ২দিনে আক্রান্ত ৯জন। তাস্বত্ত্বেও সবংয়ের এই সংক্রমনকে বেশি বলা হচ্ছে কারন দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবংয়ে মোটের ওপর সংক্রমন যথেষ্ট কম নজরে পড়েছে। সেই তুলনায় সংখ্যাটা মাথা ব্যথার কারন। গত কয়েকদিন সবংয়ে এই বিষয়টা নজর করা যাচ্ছে। সম্প্রতি সবং হাসপাতালের ২জন নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রতিবেদনে ১৫ এবং ১৬ই জুনে নতুন আক্রান্ত পাওয়া গেছে এমন থানা ভিত্তিক গ্রামের নাম ও পাশে প্রাপ্ত আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখ করা হল। বন্ধনীর বাইরে ১৬ই জুন ও বন্ধনীর ভেতরে থাকছে ১৫ই জুন নতুন আক্রান্ত মিলেছে গ্রামের নাম।
খড়গপুর শহরে আক্রান্ত পাওয়া গেছে তালবাগিচা ২, কৌশল্যা ২, গোলবাজার, ইন্দা, সুভাষপল্লী, রেল আবাসন ৩, নিউ ডেভলপমেন্ট, বড় আয়মা, নিমপুরা (তালবাগিচা ৩, ইন্দা শরৎপল্লী, মহকুমা হাসপাতাল আবাসন, রেল আবাসন, রাজগ্রাম রামকৃষ্ণপল্লী ২, সাঁজোয়াল, সুভাষপল্লী, কৌশল্যা, তলঝুলি, নিমপুরা, ইন্দা) এই চিত্র বলে দিচ্ছে শহরের তালবাগিচা, কৌশল্যা ও ইন্দা এলাকায় পরপর ২দিনই নতুন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। গ্রামীন খড়গপুরের পূর্ব পাথরি, হিরাডিহি ২, (জকপুর ২, জফলা ২, দক্ষিণ সিমলা, ধাড়িমোল ২, খেলাড়) থেকে।
মেদিনীপুর শহরের নতুন আক্রান্তের চিত্রটা হল রাজাবাজার,খাপরেল বাজার, উদয়পল্লী ২, কুইকোটা, রাঙামাটি, বল্লভপুর, স্কুলবাজার, সিপাইবাজার(ধর্মা ২, তোড়াপাড়া, কুইকোটা ৩, বাসন্তীতলা ২, তলকুই, নজরগঞ্জ, মানিকপুর) এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি অল্প হলেও সেই কুইকোটাতেই সংক্রমন রয়েছে। যে কুইকোটা এলাকাতেই সর্বাধিক আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে। মেদিনীপুর সদর ব্লকে আক্রান্ত পাওয়া গেছেবেরাপাল, কেশাশোল ২, বাঘঘরা (পাচড়া,কুমারপুর) থেকে।
মেদিনীপুর সদর মহকুমার থানাগুলিতেও আক্রান্ত যথেষ্ট কম নজরে এসেছে। যেমন গড়বেতা সদরে ১ জন আক্রান্ত ছাড়া আক্রান্ত পাওয়া গেছে সানপুর, রাউলিয়া, উড়াসাই ২, সন্ধিপুর, সাতবাঁকুড়া থেকে।গোয়ালতোড়ে ২দিনে আক্রান্ত মাত্র ২জন কড়াসাই (কড়াসাই)। শালবনীতে দুদিনে আক্রান্ত মাত্র ৭জন। শালবনী সদরে ১জন, মধুপুর, ডালমিয়া, (কুলাচুনিয়া, শালবনী ২, মৌপাল)। কেশপুর ব্লকে আনন্দপুর পুকুরকোনা ও কেশপুরে ২দিনে আক্রান্ত ২জন।
খড়গপুর মহকুমার ডেবরা সদরে ১ আক্রান্ত ছাড়া আক্রান্ত পাওয়া গেছে বৈকুণ্ঠপুর,বরাগড়, কাঞ্চনগেড়িয়া থেকে।
পিংলার খিরিন্দা, মালিগ্রাম, ঝনহাট (পিংলা ৫ , জলচক, পাঁচথুবি ২, রাতরাপুর, ডাঙরা, নারাঙাদীঘি, ঘোড়ামারা ৩)
সবংয়ের তালদা,মাধবচক ( লাড়ো, বসন্তপুর, বাসুলিয়া,হারনান,চুরকা, পুলসিটা এবং সবং সদর) আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। অন্যদিকে খড়গপুর মহকুমার দক্ষিণে বেলদা সদর থেকে ১জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। বাকি আক্রান্তরা রসুলপুর, গঙ্গাযমুনা, সবুজপল্লী, বিদ্যাসাগরপল্লী ৭,কেশিয়াড়ী মোড় ৩, ( জামবনী, ঠাকুরচক, ছোটচালতা, মহম্মদপুর, দেউলি ২, রসুলপুর, জগতপুর ২,সাবড়া) এলাকার। কেশিয়াড়ীর অর্জুনগেড়িয়া, আগরপাড়া , এলাসাই (অর্জুনগেড়িয়া, উড়িয়াবাড় কানপুর এবং নারায়নগড় থানার চক গণকা, ডাকিভাড়া (মকরামপুর ও রামপুরা,)
মোহনপুর সন্তোষপুর ২ (বাগদা, আলংগিরি) ও দাঁতন থানার ঝিনুকপলস্যা ২, কৃষ্ণপুর, চক জয়রাম, কোটপাদা (মেনকাপুর, মির্জাপুর, বাহারদা, কেসরম্ভা)
এলাকা থেকে আক্রান্ত মিলেছে।
ঘাটাল মহকুমায় ২দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২জন যারমধ্যে ঘাটালেই আক্রান্ত হয়েছেন ২২জন। ঘাটালে ১৬ই জুন আক্রান্ত পাওয়া গেছে পলাশপাই, মহারাজপুর, খাড়গম্ভীরনগর, কোটালপুর, নির্মলবাজার, বিরসিংহ, নকুড়বাজার, নারায়নচক ও বেরাবাড়ি থেকে। আগের দিন অর্থাৎ ১৫ই জুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছিল কলোড়া, কুশপাতা ৩, আমডাঙরা, কোন্নগর, নিশ্চিন্দিপুর, নির্মলবাজার, মান্দারিয়া, কামারগেড়িয়া, জামিরা, পোসতনকা, সীমানা থেকে। চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই ২ (ঝাঁকরা, পানিছড়া, খেতুয়া শিরশা, ক্ষীরপাই, কুলহান্দা) ও দাসপুর থানার দাসপুর সদর ছাড়াও আক্রান্ত পাওয়া গেছে রসুলপুর, পাঁচগেছিয়া ও পাঁচবেড়িয়া থেকে।