Homeএখন খবরকরোনা চিকিৎসায় এখনও পরীক্ষার স্তরে প্লাজমা থেরাপি জানাল কেন্দ্র, ভুল প্রয়োগে বিপদও...

করোনা চিকিৎসায় এখনও পরীক্ষার স্তরে প্লাজমা থেরাপি জানাল কেন্দ্র, ভুল প্রয়োগে বিপদও ঘটতে পারে

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্লাজমা থেরপিতে আদৌ করোনা নিরাময় হয় কিনা সেটা এখনও পরীক্ষিত নয় বলেই জানিয়ে দিল কেন্দ্র । চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি কতটা কার্যকরী সেটা এখনও গবেষণার স্তরেই আছে। মঙ্গলবার বিকেলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এই থেরাপি নিয়ে ট্রায়াল শুরু করেছে। সঠিক নির্দেশিকা না মেনে এবং এই থেরাপির নিয়ম না জেনেই যদি যথেচ্ছভাবে রোগীদের উপর প্রয়োগ করা শুরু হয় তাহলে ফল ভাল নাও হতে পারে। তিনি বলেন, সব থেরাপির একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। প্লাজমা থেরাপি সেই নিয়ম মেনে না করলে রোগীদের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে।

কেন্দ্র এও জানিয়েছে , প্লাজমা থেরাপি কোনও নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি নয়। আগেও নানা সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়েছে। করোনা রোগীদের উপরে এই থেরাপি কীভাবে প্রয়োগ করা যায় সেই নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়েই। আইসিএমআর আগেই জানিয়েছিল, কোভিড পজিটিভ রোগীদের উপরে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের গবেষণা চলছে। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির(এনআইভি) সহযোগিতায় প্লাজমা থেরাপির ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে লব আগরওয়াল বলেন, করোনার চিকিৎসায় অন্যান্য থেরাপির মতো প্লাজমা থেরাপি নিয়েও গবেষণা চলছে। তবে এই থেরাপি যে সবক্ষেত্রেই কার্যকরী হবে এমনটা এখনও বলা হয়নি। বরং এই থেরাপি প্রয়োগের সময় সঠিক গাইডলাইন মেনে চলাই উচিত।
উল্লেখ্য প্লাজমা থেরাপি হল এমন পদ্ধতি যেখানে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠাদের প্লাজমা বা রক্তরস সংগ্রহ করে সেটা প্রয়োগ করা হয় আক্রান্তের শরীরে।  তাহলে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির অ্যান্টিবডি আক্রান্তের শরীরে গিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে পারবে বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের। তবে এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের অনেক নিয়ম আছে। আইসিএমআর জানিয়েছিল, প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের আগে, দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ ও রক্তের আরও কিছু পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। কারণ প্লাজমা থেরাপি সব রোগীর উপরে প্রয়োগ করা নাও যেতে পারে। সংক্রমণের ধরন, উপসর্গ, রোগীদের শারীরিক অবস্থা অনেক কিছু পরীক্ষা করে দেখে তবেই এই থেরাপির প্রয়োগ হতে পারে। তার ওপর দাতার শরীরে সংক্রমণ থেকে গেছে কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও তাঁকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এরপরেও টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাকে পুরোপুরি সুস্থ বলা যায়। তখন তার প্লাজমা থেরাপির জন্য নেওয়া যেতে পারে। আইসিএমআর এমনও জানিয়েছিল, দাতার প্লাজমা আক্রান্তের শরীরে প্রয়োগের আগে পুণের এনআইভিতে অনেকবার টেস্ট করে নেওয়া হবে। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির প্লাজমা অন্য এক আক্রান্ত রুগীকে প্রয়োগ করা হয়। পরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। ফলে তিনি যে প্লাজমা থেরাপিতেই সুস্থ হয়েছেন এমনটা বলার মত অবস্থা এখুনি নেই বলেই জানানো হয়েছে। এ বিশেষ আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন এবং তা চলছে ।

RELATED ARTICLES

Most Popular