ওয়েব ডেস্ক : করোনা আবহে হাসপাতালগুলিতে একের পর এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে চলেছে। কখনও হাসপাতালের কার্নিশ বেয়ে নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা, কখনও আবার হাসপাতালের মধ্যেই আত্মহত্যা করার ঘটনা নজরে আসছে৷ রবিবার সকালেও এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। চিকিৎসা চলাকালীন আচমকা নিজের ওয়ার্ডেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক করোনা রোগী৷ জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাজকুমার বেরা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপের বাসিন্দা। তবে হটাৎ কেন আত্মহত্যা করলেন ওই করোনা রোগী তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এনআরএস ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ওয়ার্ডের বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ওই ওয়ার্ডের বাথরুমে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন করোনায় চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি। এরপর ওয়ার্ডের কর্মীরা দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের সুপার ও অন্যান্য কর্মীরা ওয়ার্ডে পৌঁছা। ঘটনার পর দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে ঠিক কি কারণে ওই করোনা রোগী আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও ইতিমধ্যেই তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যদিও এবিষয়ে এনআরএস হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “৩৮ বছর বয়সী রাজকুমার বেরা রক্তের একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। সেই নিয়ে তাঁর চিকিৎসা চলছিল হেমাটোলজি বিভাগে। পরে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। তখন করোনা চিকিৎসার জন্য তাঁকে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার সকালে কর্মীরা বাথরুমের মধ্যে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। গোটা ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ জোগাড় করা হচ্ছে। সেটি খতিয়ে দেখা হবে।”
করোনা ওয়ার্ডের মধ্যে একজন করোনা রোগীর এভাবে আত্মহত্যার ঘটনায় কিন্তু আবারও সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওয়ার্ডে কোনও কর্মী না থাকার কারণেই ওই রোগী আত্মহত্যা করার সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পর ফের কাঠগড়ায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। যদিও এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই প্রথম হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটলো৷ এর আগে কোনোদিন এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি হাসপাতালকে।