নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার ১৩মে রাজ্যের করোনা বুলেটিনে বলা হচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলায় এখনও অবধি ৩ জনই কোভিড পজিটিভ। আরও বলা হচ্ছে গত ৯ তারিখের পর ঝাড়গ্রাম জেলায় কোনও আক্রান্ত নেই। প্রথম এবং শেষ ওই ৩ জনই আক্রান্ত! পূর্ব মেদিনীপুরের মেচোগ্রামের বড়মা কোভিড হাসপাতাল বলছে ৯ তারিখ ৩ জন, ১২ তারিখ ৩ জন এবং আগের ২ জন মিলিয়ে ঝাড়গ্রাম থেকে মোট ৮ জন আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অবশ্য তারও আগে এগরা থেকে আসা আরও ১জন বড়মাতেই চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
যদি ধরেই নেওয়া হয় একজনকে এগরা বা পূর্ব মেদিনীপুরের খাতায় ধরা হয়েছে এবং পরের ২জনকে কলকাতা থেকে আসার সুবাদে কলকাতার খাতায় তাহলেও ৩জন থেকে যায়! সেই ১২তারিখে বড়মা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩ জন কোন খাতায় উঠল? প্রশ্ন আছে কিন্তু জবাব নেই কারন ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, প্রশাসন মুখ খুলছেন না।
ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম বলছেন, ”জেলার করোনা পরিস্থিতি জানতে চেয়ে ফোন করেছি বারংবার। জেলাশাসক, মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ফোন ধরেননি। বাধ্য হয়ে চিঠি লিখেছি, উত্তর আসেনি। আমি নিজেই বুঝতে পারছিনা জেলার অবস্থা কি, তো সাধারন মানুষ কী করবেন? ফলে গ্রামে গ্রামে আতংক ছড়াচ্ছে। নিজেরাই গ্রামের মুখে বেড়া দিচ্ছেন। মানুষ প্রকৃত ঘটনা জানতে পারলে সচেতন হতেন, এখন জানতে না পেরে আতংকিত হচ্ছেন। এ আমরা কোথায় বাস করছি যেখানে প্রশাসন প্ৰকৃত তথ্যকে আড়াল করে যাচ্ছে!”
ঘটনা এটাই যে গ্রামে গ্রামে আতংক ছড়াচ্ছে, গুজব ছড়াচ্ছে।যে যার মত করে গ্রামের মুখে বেড়া দিচ্ছে। কোথাও আবার গ্রামের দোকানও বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে গ্রামেরই তরফে। একই অবস্থা শহরেও। ১১ তারিখ যাঁদের পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে সেই পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের এলাকায়, কর্মক্ষেত্রে আতংক। খাতায় কলমে গ্রীন জোন হওয়া স্বত্ত্বেও যেন রেড জোনের আতংক পেয়ে বসেছে শহরবাসীকে।
ঝাড়গ্রাম শহরের বাজার ঘাট শুনশান আর ফিসফিস করে যে যার মত করে গুজব ছড়িয়ে বলছে আজ এ পাড়ায় তো কাল ও পাড়ায় পজিটিভ এসেছে। যদিও ১১তারিখের পর নতুন করে কোনও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি, কোথাও কোনও পজিটিভ নেই, অন্তত বড়মা হাসপাতালের রেজিষ্টার তাই বলছে।