নিউজ ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল গোটা দেশ। রাজ্যেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই করোনা আবহেও মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়নি। তাই করোনা বিধির কথা মাথায় রেখেই এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪,২০০ করা হচ্ছে।
পর্ষদের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যথাযথ দূরত্ব রেখেই বসার ব্যবস্থা করা হবে। আট ফুটের বেঞ্চ হলে একটি বেঞ্চের দু’ প্রান্তে দু’ জন পরীক্ষার্থী বসবে, আর ৬ ফুটের বেঞ্চ হলে একজন করে পরীক্ষার্থীকে বসানো হবে। ঘরের সাইজের উপর নির্ভর করবে কতজন ছাত্র ছাত্রী সেই ঘরে বসবেন। তবে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে দুশো থেকে আড়াইশো জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিতে আসবে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শিক্ষক-শিক্ষিকারা গ্লাভস পরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নপত্র দেবেন।
পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এতদিন কোভিড প্রোটোকল মেনেই নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছিল রাজ্যে। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে হারে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাই আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকেই স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৫৩ জন। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪২৬ জন। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাই রাজ্যে প্রথম। শুধু কলকাতাতেই একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২১১ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। স্কুল ছুটির এই ঘোষণায় মাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেল বলেই অনেকে মনে করছে।
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত হবে বা পিছিয়ে যাবে বলে কোনও বার্তা স্কুল শিক্ষা দফতর বা রাজ্য প্রশাসনের থেকে তারা পায়নি৷ আগামী ১ জুন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা৷ যেহেতু ১৩ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক দেবে, তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে পর্ষদকে, আর সেই নিয়েই চলছে প্রস্তুতি পর্ব। তবে শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা তো করোনাই ঠিক করবে।