ওয়েব ডেস্ক : ফের করোনা হানা শাসকদলের অন্দরে। করোনা আক্রান্ত হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল। বেশ কিছুদিন যাবত তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন যাবত তার শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। এরপরই তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। দিন দিন উত্তরবঙ্গে ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে সংক্রমণ। এর জেরে গত ২ দিন যাবত মালদায় পুরোপুরি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশসন৷ তবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে যদি এভাবে জনপ্রতিনিধিরাই সংক্রমিত হয়ে পড়েন সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন যাবত অসুস্থ থাকার পর সন্দেহ বশত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ট্রুনাট মেশিনে দিন কয়েক আগে তার করোনা পরীক্ষা হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর নিশ্চিত হতে ফের তাঁর লালারসের নমুনা নিয়ে তা মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর বুধবার আরটিপিসি পদ্ধতির মাধ্যমে তার করোনা পরীক্ষা করার পর সেই রিপোর্টও পজিটিভ আসে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রিপোর্ট পৌঁছয়। দেখা যায় এক্ষেত্রেও বিধায়কের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এরপর এদিন রাতেই তাঁকে বালুরঘাটের সেফ হোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
রাজ্য জুড়ে একের পর এক শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের লাগাতার করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের কোষাধ্যক্ষ তমোনাশ ঘোষের। এর আগে সংক্রণের শিকার হয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ছাড়াও বেশ কয়েকজন শাসকদলের নেতা কর্মীরা।
তবে শুধুমাত্র তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল নয় একই সাথে বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর থেকেই ২৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। ফলে এই জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭৭ জন। যে পরিমাণে রাজ্যে প্রতিদিন দ্রুত হারে বাড়ছে সংক্রমণ সেক্ষেত্রে উত্তর থেকে দক্ষিণে মানুষের মনে ক্রমশই জাঁকিয়ে বসছে করোনা ভিতি।