ভরসা হিট স্ক্যান ক্যামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্ব জুড়ে ফের ভয়াবহ সংকটের মুখে মারণ করোনা ভাইরাসের থাবায়। এখনও অবধি সরকারি পরিসংখ্যান মতে বুধবার পর্যন্ত চিনে মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের। সংক্রমণ ছড়িয়েছে প্রায় ৮ হাজার মানুষের মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের কাছে পদক্ষেপ করার আরজি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হু।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরিস্থিতি এতটাই ঘোরলো যে, বৃহস্পতিবার, করোনা সংক্রমণ নিয়ে জেনেভায় চিনা অধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে ‘হু’ র কর্তারা। চিনের ‘ন্যাশনাল হেলথ কমিশন’ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার ৭১১ জনের রক্তে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ১২ হাজার সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তের ব্লাড স্যাম্পল পরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। উল্লেখ্য, এই মারণ রোগের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে হুবেই প্রদেশের রাজধানি ইউহান শহর।এহেন পরিস্থিতিতে এই রোগের মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে পদক্ষেপের আরজি জানিয়েছে হু। হু’ র ডাইরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম ঘেবরেয়েসাস বলেন, “গত কয়কদিনে যে গতিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়, বিশেষ করে একজনের থেকে আরেকজনরে মধ্যে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও সতর্কতার সঙ্গে দেখছে ভারত। শুধুই বিমানবন্দর নয়, সতর্কতা জারি হয়েছে জলপথ তথা সমুদ্র ও নদি বন্দরগুলিতে। বিশেষ করে দক্ষিনপুর্ব এশিয়ার দেশগুলি থেকে আসা যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজ গুলির ওপর চলছে কড়া নজরদারি। থার্মাল স্ক্যানার ক্যামেরা ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে যাত্রী, কেবিন বয় বা ক্রু সদস্যদের। হলদিয়া বন্দরে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এই পরীক্ষার কাজ। হলদিয়া বন্দরের প্রসাশনিক জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত জানিয়েছেন, ”বুধবার বন্দরে থাকা ৫টি পণ্যবাহী জাহাজের ১১৫জন ক্রু সদস্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিদিনই এই কাজ নিয়ম করে চলবে।” ক্যামেরাগুলির বিশেষত্ব এই যে, এখানে হিট সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে যা শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে চিহ্নিত করবে। ১০১ডিগ্রির ওপরের তাপমান হলেই ক্যামেরা ধরে ফেলবে এবং সতর্ক করে দেবে কর্তৃপক্ষকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে, চিন থেকে নিজের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে বিশেষ বিমান চালাচ্ছে আমেরিকা, ভারত ও জাপান-সহ একাধিক দেশ। এই মারণ রোগের প্রভাব পড়ছে চিনের অর্থনীতিতেও।বিশেষ করে একাধিক বিমানসংস্থা পরিষেবা বাতিল করায় ধাক্কা খেয়েছে ব্যবসা। ২০০৩ সালে এশিয়ায় সার্সের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এই প্রথম বিমান সংস্থাগুলি এতবড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
প্রতিদিন মাত্র ৫০টাকায় এখানে বিজ্ঞাপন দিন |
উল্লেখ্য, চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ক্রমেই মহামারীর আকার নিচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত হতে বাদ নেই ইউরোপ, আমেরিকাও। বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হলদিয়া ও কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ আশংকা করছে ভাইরাস সংক্রমন ছড়িয়ে পরলে মাঝ সমুদ্রেই আটকে দিতে হতে পারে জাহাজ গুলিকে আর সেক্ষেত্রে পন্য পরিবহনও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরাসরি চিনের জাহাজ এই বন্দরে না ভিড়লেও চিনের পাশাপাশি দক্ষিনপুর্ব এশিয়ার প্রায় সমস্ত দেশের জাহাজ এখানে আসে। তাদের মারফৎ চিন থেকে দ্রব্য সামগ্রী আদান প্রদান হয়ে থাকে। ফলে চুড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে এখানেও। একই ভাবে সতর্কতা বজবজ বন্দরও ।