নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্রমশঃ নাম গুলো মুছে যাচ্ছে আক্রান্তের এখন সব শুধুই সংখ্যায়! সোমবার সকালেই নতুন ১৯জন আক্রান্ত নিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯হাজার ১৫২জনে। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩০৮জনের। আর দেশের এই আক্রান্তের তালিকায় সর্বাধিক এগিয়ে মহারাষ্ট্র, দিল্লি,তমিলনাডু। রবিবার রাত অবধি মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত মিলেছে ১,৪২৬জনের। পরেই ১০২৫জন নিয়ে দিল্লি দ্বিতীয় স্থানে আর ৯১৫ জন নিয়ে তমিলনাডু রয়েছে তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় চতুর্থ স্থানে রাজস্থান, ৬৭৬জন । উদ্বেগ জনক ভাবে মধ্যপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
রবিবার রাতের হিসাবে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৮ জন। মধ্যপ্রদেশের অবস্থা আশঙ্কার এই কারনেই যে রবিবারের হিসাবে গত ৪৮ঘন্টা আগে সেখানে সংখ্যাটা ছিল ২৪৩। অন্যদিকে এই হিসাব ধরেই তমিলনাডু ৪৩৯ থেকে ৬৭৬য়ে দাঁড়িয়েছিল রবিবার। তুলনামূলক ভাবে রবিবার সন্ধ্যা অবধি ভাল অবস্থায় মহারাষ্ট্র। ৪৮ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৪জন।
howindialives.com একটি জেলা ভিত্তিক সমীক্ষা করে দেখিয়েছে ভারতের ১০টি জেলা আক্রান্তের ৪১শতাংশ নিয়ে রয়েছে। ৫০টি জেলায় মোট আক্রান্তের ৭১শতাংশ নিয়ে রয়েছে আর ৩৭৮টি জেলায় কোভিড-১৯য়ের অস্থিত্ব মিলেছে। জেলাগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মুম্বাই যেখানে আক্রান্ত ১২৫৯ জন। দ্বিতীয় জয়পুর, ৩২১ জন। এভাবেই দক্ষিন দিল্লি (৩২০), ইন্দোর (৩১১), আহমেদাবাদ (২৬৬), পুনে (২৫৮), হায়দ্রাবাদ (২০০), চেন্নাই (১৮২), কেরলের কসরগোড (১৬৮) , থানে (১৫৯) সংখ্যা নিয়ে দেশের জেলাগুলির মধ্যে ক্রমান্বয়ে শীর্ষে রয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ৭৯৬ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন মোট ৯ হাজার ১৫২। দেশে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩০৮ জনের। এর মধ্যে কেবল মাত্র মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন আরও ৩৫ জন।
দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও করোনায় বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ও পেয়েছেন বহু মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব বলছে, ৮৫৬ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২। অবশ্য নবান্ন জানিয়েছে, এ রাজ্যে ‘অ্যাক্টিভ’ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। তবে মনে রাখতে হবে এসবই অত্যন্ত সীমিত পরিমান পরীক্ষার ফলেই প্রাপ্ত। কারন দেশজুড়ে একমাত্র কেরল ছাড়া করোনা পরীক্ষায় সব রাজ্যই পিছিয়ে রয়েছে। ব্যাপক হারে পরীক্ষা হলে আক্রান্তর মানচিত্রটাই বদলে যেতে পারে।