নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের করোনার সন্ধান মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লক এলাকায়। এবার কলকাতায় চিকিৎসা করতে গিয়েই জাহালদা এলাকার এক ৩১ বছরের গৃহবধূ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি সূত্রে জানা গেছে, জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়েছিল ওই গৃহবধূর পরে যা ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপরই তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দিন কয়েক আগেই হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন। ফেরার সময়েই তাঁর নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল।
রবিবার রাতে রাজ্য থেকে জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয় নমুনায় কোভিড ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
সকালেই জাহালদা বাজার এলাকায় থেকে যায় পুলিশ ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা। উল্লেখ্য ওই এলাকারই বিমল টিকিয়া বলে একটি গ্রামে বিয়ে হলেও অসুস্থতার কারনে তিনি জাহালদার বাপের বাড়িতেই থাকতেন। তাঁর বাবার একটি মুদি দোকান রয়েছে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এই দোকানে ভালই ভিড় হত। তাই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
২ সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে বাবা মা ছাড়াও ভাই তাঁর স্ত্রী ও একটি সন্তান রয়েছে। এঁদের কোয়ারেন্টাইন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গোটা এলাকা সিল করে দিয়ে কন্টেনমেন্ট জোন গঠন করেছে পুলিশ। মাইকে এলাকাবাসীকে বাড়ির বাইরে না বেরুনোর আবেদন করার পাশাপাশি প্রতি বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হবে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
ওই গৃহবধূকে বড়মা কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তবে একদিকে ক্যানসার ও অন্যদিকে করোনা হওয়ায় তাঁর দুটো চিকিৎসাই বড়মা তে সম্ভব হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে চিকিৎসা মহলেই। কিন্তু আপাতত কোভিডকে প্রাথমিক গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
এদিকে ১ দিনে পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল ২০৮ জনের দেহে। যা এক নতুন রেকর্ড। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর এই লক্ষণকে মোটেও ভালভাবে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
গত কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোগী বৃদ্ধির সংখ্যা ঘুরপাক খেয়েছে ১০০-১৩০-এর মধ্যে। সেই সংখ্যা এক ধাক্কায় ২০০ পার করল রবিবার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার পশ্চিমবঙ্গে করোনার ১,২১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে ২০৮টি নমুনা পজিটিভ রয়েছে। রাজ্যে নতুন করে ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭২।